লকডাউনের পরে ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হলেও বন্ধ ছিল রিয়্যালিটি শোয়ের দরজা। মাত্র ৩৫ জন সদস্য নিয়ে শুটিংয়ের অনুমতি মিলেছিল রাজ্য সরকারের তরফে। আউটডোর শুটিংয়েরও অনুমতি দেয়নি সরকার। টলিপাড়া আংশিক সচল হওয়ার প্রায় একমাস পর সোমবার আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন, প্রোডিউসারস গিল্ডের সদস্য, ইমপার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই চার সংগঠনের সদস্যরা ছাড়াও এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, আউটডোর শুটিং-সহ বেশ কয়েকটি জরুরি বিষয়ে আলোচনা হয় সেখানে। উপস্থিত ছিলেন রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অরিন্দম শীলের মতো পরিচিত মুখেরা। প্রযোজকদের তরফে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, পরম, রাজ-সহ বাকিরা আউটডোর শুটিংয়ের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধও জানান।
একে লকডাউন, তার ওপরে আমফানের ধ্বংসলীলা। বলা বাহুল্য, ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের সিনেমাহলগুলি। এদিন সে ব্যাপারেও কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত সিনেমা হলগুলিকে অর্থসাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, কেন্দ্রের অনুমতি না মিললে খুলবে না সিনেমাহল।
চলচ্চিত্র উৎসবের ক্ষেত্রে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বেশ কিছু অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান এই পরিস্থিতিতে করা যায়নি। এছাড়াও জানানো হয়, ওয়েব সিরিজ বা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পরিচালক রাজ চক্রবর্তীদের নিয়ে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নেতৃত্বে তৈরি হবে কমিটি। টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ইনস্টিটিউট তৈরি পরামর্শও দেন মমতা।
আরও পড়ুন, মিলল রফাসূত্র, শুটিং ফ্লোরে যাচ্ছে মিমি-নুসরতের ছবি
টলিপাড়ার এদিনের বৈঠকে ছাড় মিলেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। এক নজরে-
৩৫ থেকে বেড়ে ৪০ জন টেকনিশিয়ান-শিল্পী (ইউনিট) নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
শর্তসাপেক্ষে আউটডোর শুটিংয়ে অনুমতি। কলকাতার সিপি, জেলার ক্ষেত্রে জেলার এসপি ও এডিজি-র নজরদারি থাকবে।
নন-ফিকশন অর্থাৎ রিয়্যালিটি শোয়ের শুটিং করা যাবে, তবে দর্শকাসন শূন্য রেখেই।
অন্য রাজ্য থেকে বাংলায় শুটিং করার অনুমতি।
ধারাবাহিকে কোভি়ড সংক্রান্ত সচেতনতা নিয়ে কথা বলতে হবে।
সিনেমাহল মালিকদের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য সরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন