Mamata Banerjee Reaction On Moon Moon Sen Husband Death : মঙ্গলের সকালেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেববর্মা। ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য খবর দেওয়া হয়। কিন্তু, সেটি পৌঁছনোর আগেই সব শেষ। মুনমুন সেনের স্বামী ভরতের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরতকে হারিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন মমতা। তাঁর চলে যাওয়া, আত্মীয়-শুভাকাঙ্খীকে হারানো, এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেজ থেকে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিওটি দেখুন। প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের স্মৃতিচারণাও করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'মুনমুন এখন এখানে নেই। দিল্লিতে রয়েছে। রাইমাও দিল্লিতে। এখানে রিয়া আছে। ওঁর সঙ্গে বন্ধুবান্ধব আর প্রতিবেশীরা আছে। মুনমুন ইন্ডিগো ফ্লাইটে আসছে। ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও বেচারা জানতই না বিষয়টা। প্রেসের মানুষদের থেকেই জেনেছে। ওকে আমরা তাড়াতাড়ি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করব। ভরত আমাদের খুব ভালবাসত। আমায়িক মানুষ ছিল ভরত। আমাদের শুভাকাঙ্খী ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন আত্মীয়-শুভাকাঙ্খীকে হারালাম। মুনমুন-রাইমা ফিরে আসুক ভালভাবে। আমি কাউন্সিলরকে, পুলিশকে বলে রেখেছি যাতে মুনমুন আসলে ওকে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে আসে। বাকি সব ব্যবস্থা করেছি যা প্রয়োজন। এখন তো আর কিছু করার নেই, শোকপ্রকাশ করা ছাড়া। ওঁর সুগার ছিল। এমন কিছু অসুস্থ কিন্তু, ছিলেন না। শীতের ভোরে হার্ট অ্যাটাকের একটা প্রবণতা থাকে। এই সময় একটু শরীরের যত্ন নেওয়া উচিত'।
আরও পড়ুন: 'খুব ভাল মানুষ ছিলেন, অল্প কথা বলতেন', মুনমুন সেনের স্বামীর মৃত্যুতে বললেন চিরঞ্জিৎ
মমতার সংযোজন, 'পুজোর কার্নিভ্যালে রিয়া-রাইমা এসেছিল। তখন ওদের বাবা সুস্থ ছিল বলেই আসতে পেরেছিল। ভরতের শরীর খারাপ লাগলে তো মুনমুনও দিল্লি যেত না। হঠাৎ করে ঘটনাটা ঘটে গেল। আজকের দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুচিত্রা সেনেরও স্মৃতিচারণা করলেন।
তিনি বলেন, 'এই পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। অভিনয় ছাড়ার পর সুচিত্রা সেন কারও সঙ্গে দেখা করেননি। শুধুমাত্র আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন। ওঁর একটাই ইচ্ছে ছিল মৃত্যুর পর যেন কেউ তাঁর চেহারা না দেখতে পায়। আমি তাঁর শেষ ইচ্ছেটা পূরণ করেছিলাম। সুচিত্রা সেন কোনও দিন লাইফ সাপোর্ট নিয়ে চাননি। ভেন্টিলেশনে থাকতে চাননি। সেটা হলে হয়তো আরও কিছুদিন থাকতেন।'