সারা দেশ জুড়ে লকডাউন। নভেল করোনাভাইরাসের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছেন না কেউই। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের হদিশ মিলল রাজ-শুভশ্রীর আবাসনে। বাইপাসের ধারের এই অভিজাত আবাসনে নিরাপত্তা জোরদার। তবুও কীভাবে থাবা বসাল কোভিড ১৯? আবাসনের বাস একঝাঁক টলিউড তারকার। রয়েছেন রাজ-শুভশ্রী, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী, অরিন্দম শীলের মতো ব্যক্তিত্বরা।
বিলাসবহুল এই আবাসনের এক প্রৌঢ়ের দেহে মিলেছে করোনাভাইরাস। চিন্তার ভাঁজ রাজ চক্রবর্তীর কপালে। তাঁর স্ত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় সন্তানসম্ভবা। এত নজরদারি সত্ত্বেও করোনার আগমনে স্বভাবতই আতঙ্কে রাজ। খবর, রাজ-শুভশ্রীর যে টাওয়ারে থাকেন সেই টাওয়ারেই থাকেন ওই আক্রান্ত। সিল করা না হলেও পুরো টাওয়ার স্যানিটাইজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, "গুজবে কান দেবেন না"! পরিবারকে নিয়ে ভুয়ো খবরে বিরক্ত কোয়েল
ওই টাওয়ারেই থাকেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও। সোমবার এই খবর পাওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আক্রান্তকে। লকডাউনের জেরে প্রায় দুমাস গৃহবন্দি সকলে। আবাসনেও একই নিয়ম। কোনও পরিচারক-পরিচারিকাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বেশ কড়াকড়ির সঙ্গেই সমস্ত নিয়ম পালন করা হচ্ছে। তবু এই অযাচিত সমস্যায় দুশ্চিন্তায় রাজ।
ইনস্টাগ্রামে নিজের ইভনিং ওয়াকের ছবি পোস্ট করে রাজ লিখেছেন, "আজ থেকে কোনও ইভনিং ওয়াক নয়। হ্যাপি কোয়ারান্টিন।" লকডাউনের চতুর্থ দফা, কিছুদিন পরে ভাল সময় হয়তো দেখতে পাবেন সকলে। করোনার থাবা থেকে মুক্তি পাবেন, এই আশাতেই দিন কাটছে সকলের। তার মধ্যে আবাসনে করোনা আতঙ্কে সমস্যা বাড়ল। তবে সমস্তটা ঠিকভাবে সামলে যাক, চান রাজ। আরোগ্য কমনা করেছেন আক্রান্ত প্রৌঢ়েরও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন