করোনার প্রার্দুভাবে সারা দেশে ২১দিনের লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। প্রথম প্রথম ছুটির কথা ভেবে মজা লাগলেও, পরের দিনগুলোয় একঘেয়েমি আসতে বাধ্য। আর বাড়িতে যদি এক-দুটো ছোট মানুষ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। এটা করবো, তাকে ডাকো, ওখানে নিয়ে যাও- নানা আবদার। তাদের আবার লকডাউন কীসের!
পাঁচটা সাধারণ বাড়ির মতো অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও পড়েছেন এই মুশকিলে। সুদীপ্তা ও অভিষেকের কন্যা শাহিদাও স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনের জেরে বাড়িতে। কিন্তু সময় তো কাটতে চায় না। কখনও ড্রয়িং তো কখন ফ্যাশন শো, এই নিয়েই ভুলিয়ে ভালিয়ে সময় কাটানো হচ্ছে তার।
প্রায় হিমশিম দশা সুদীপ্তার। তাতেও কুছ পরোয়া নেই! দিব্যি উপায় বার করে ফেলেছেন তিনি। কখনও মেয়ে একাই দাঁড়িয়ে পড়ছে ক্যামেরার সামনে, চিত্রগ্রাহক ও গায়িকা সুদীপ্তা। তো কখনও মাকে নিয়ে ক্যামেরার সামনে নাচ গানে মাতিয়ে তুলছে সোশাল মিডিয়ার দর্শকদের মন।
আরও পড়ুন, করোনার থেকেও আরও বড় সমস্যার কথা জানালেন অপর্ণা সেন
ইতিমধ্যেই নিজের একটা বড়সড় ফলোয়ার তৈরি করে ফেলেছে শাহিদা। একবেলা তার ভিডিয়ো না আসলে সোশাল মিডিয়ায় পরিচিত মানুষেরা বলে যাচ্ছে, ব্যস্ত নাকি। আজ কোনও পারফরমেন্স দেখলাম না। তো আবার কারও বক্তব্য, আইসোলেশন কাটলেই বাড়ি এসে আদর করে যাবে শাহিদাকে।
এতটুকু বয়সেই আঁকা, গান ও নাচের প্রতি ঝোঁক প্রবল। সুদীপ্তা করিয়ে যাচ্ছেন আর উনি দিব্যি সেজেগুজে তৈরি। কখনও কখনও আবার শিখিয়ে দিচ্ছে মাকে। এভাবে নয় ওভাবে, এই পোজ নয় ওটা। ভরতনাট্যমের তালিম নেয় সে। এদিন দিদি ঝুমরির (বিদিশার মেয়ে) সঙ্গে ঠুমরির (শাহিদা) ভিডিয়োও পোস্ট করলেন সুদীপ্তা।
আরও পড়ুন, টেলিপাড়া ছন্দে ফিরলেই আসছে ‘ক্ষীরের পুতুল’, রাজা সুমন দে
ভারত সহ গোটা বিশ্ব এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের গ্রাসে মৃত্যুমুখে জনজাতি। এরই মধ্যে ভারতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১০ ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত-৫৬২। বাংলা এই মূহুর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯। লকডাউন সত্ত্বেও বহু মানুষকে মঙ্গলবারও রাস্তায় বেরোতে দেখা গিয়েছে। লকডাউন লংঘন করলেই কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। চলছে সচেতনতাও।
এদিকে বাড়িতে আতঙ্কে বন্দী মানুষগুলোর মুখে নিজের অজান্তেই হাসি ফোটাচ্ছেন শাহিদা। এই বা কম কি!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন