করোনা সতর্কতা দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ রাজ্যও লকডাউনেই। মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের পাশে থাকছেন। এবার তাঁকে সাহায্য করতেই এগিয়ে এলেন দুই তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান। করোনা মোকাবিলার জন্য মিমি চক্রবর্তী সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ এবং ব্যক্তিগতভাবে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া কথা জানিয়েছেন। নুসরত জাহানও, তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ও একমাসের বেতন দিচ্ছেন। পুরো অর্থই জমা হবে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে।
শনিবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণ করে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষের যাতে দুবেলা খেতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেই নজর রাখতে চেতলা বাজারে যান নুসরত। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সচেতনও করছেন। দুর্যোগের দিনে ক্রেতাদের ন্যায্য মূল্যে সামগ্রী বিক্রি করতে অনুরোধ করলেন ব্যবসায়ীদের। কিছুদিন আগেই মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করতেও দেখা গিয়েছে নায়িকাকে। এবার বসিরহাটের মানুষদের জন্য করোনা তাহবিলে অর্থসাহায্য করলেন তারকা সাংসদ।
আরও পড়ুন, লকডাউনের রোজনামচা! নিজেদের কীভাবে ব্যস্ত রেখেছেন তারকারা?
এদিকে লন্ডন থেকে ফিরে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। তবে বা়ড়ি থেকে বেরোতে না পারলেও কাজ থেমে নেই সাংসদের। ইতিমধ্যেই যাদবপুরের মানুষদের মধ্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও প্রয়োজনীয় সমস্ত খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মিমি। বাড়িতে বসেই সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ ভিডিয়ো বার্তায় সচেতনা বৃদ্ধি করছেন।
যাদবপুর ও বসিরহাটের সমস্ত হাসপাতালে যাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের কোনও খামতি না হয়, তাই মিমি-নুসরতের এই পদক্ষেপ। কিছুদিন আগে আরও এক তারকা সাংসদ দেব ঘাটালের জন্য ১ কোটি টাকা অর্থসাহায্য করেছেন। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে-ই সমস্ত টাকা জমা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৭৯। মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ১৯৩ জন। মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন, ‘করোনা মোকাবিলায় লকডাউনই একমাত্র পথ। নিয়ম ভাঙলে করোনা থেকে বাঁচা মুশকিল।’