জঙ্গি হামলার নিন্দা করতে গিয়েও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। কিন্তু তার পরের দিনও নিজের কথায় অনড় থাকলেন সিধু। তিনি বললেন, ''দেশ সবময়েই আগে'', তবে তিনি ''কিছু ভীরু মানুষের জন্য গোটা দেশকে দোষারোপ করতে পারবেন না''। ''আমার কাছে দেশই সবার আগে কিন্তু গতকাল আমি বলেছি সেটাতেই অনড় থাকব এবং কিছু সন্ত্রাসীদের জন্য সারা দেশকে দোষ দিতে পারব না''। তিনি আরও বলেন, তার বিবৃতি ''বিকৃত'' করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মিডিয়া তাঁকে জিজ্ঞেস করে তার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ দেশ না বন্ধুত্ব, সেকথার উত্তরেই তিনি এমন জবাব দেন।
শুক্রবার পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, যা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং আমি সেকারণে ব্যথিত। সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয়না। প্রতিটি জায়গাতে ভাল, মন্দ ও কুৎসিত রয়েছে। সব দেশে আছে। দোষীদের শাস্তি পাওয়া উচিৎ। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের এই কাজের জন্য কি সারা দেশের মানুষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়? আর পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে এই মন্তব্যের পরই সমালোচিত হন তিনি। বিতর্ক এতদূর যায় যে কপিল শর্মা শো থেকে বহিষ্কার করা হয় প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনারকে এবং তাঁর জায়গায় শোয়ে আসতে চলেছেন অর্চনা পুরণ সিং।
আরও পড়ুন, করাচির অনুষ্ঠান বাতিল করলেন শাবানা আজমি, জাভেদ আখতার
শনিবার লুধিয়ানায় সিধু বলেন, ''এখনও আমি আমার শব্দে অনড় থাকব। যে সন্ত্রাসের কোন ধর্ম, জাত কিংবা দেশ হয়না। আমার বিবৃতি পুরোটা দেখানো হচ্ছে না। সেখান থেকে একটা লাইন তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছু সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য সারা দেশকে আমরা ঘৃণা করতে পারিনা। তারা আমাদের জওয়ানদের হত্যা করেছে, আমাদের মর্যাদা আঘাত হেনেছে কিন্তু তাদের ভয়ঙ্কর কাজের জন্য গুরু নানকের দর্শন ভুলে যেতে পারি না। কর্তারপুর করিডোর খুলে দিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত সিন্ধান্তে এই সন্ত্রাসবাদীদের জন্য প্রভাব পড়া ঠিক নয়''।
Read the full story in English