২০১৩ সালে রোমানিয়ায় আইনি পদ্ধতিতে শিকারে গিয়েছিলেন সইফ আলি খান। কিন্তু তার অনুমতি ও অন্যান্য খরচের জন্য জন্য যে অর্থ দিতে হয়, তা তিনি দেননি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দু মাস আগে বুলগেরিয়ার বিচার বিভাগ মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে চিঠি পাঠিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সে চিঠির উত্তর দেওয়া হয়নি। কেন চিঠির উত্তর মেলেনি, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছে ইন্টারপোল। মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের বক্তব্য, ২০১৩-র স্মৃতি মনে পড়ছে না নবাবপুত্রের।
২০১৩র ৯ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সইফরা বুলগেরিয়ার একটি কোম্পানিকে এ বাবদে নিযুক্ত করেছিলেন যাদের এ ব্যাপারে লাইসেন্স ও পারমিশন রয়েছে। যার ফলে এইসব অ্যাভেঞ্চার প্রিয় মানুষদের শিকার করতে সাহায্য করে থাকে তারা। কিন্তু তাদের পাওনা বকেয়া থাকায় বুলগেরিয়ান কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করে কোম্পানিটি। এই বছর জুনের প্রথম সপ্তাহে বুলগেরিয়া সরকারের হয়ে মুম্বই পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চকে প্রশ্ন পাঠায় ইন্টারপোল। তাদের সইফের জবানবন্দী রেকর্ড করতে বলা হয়।
পুলিশের এক সূত্রের খবর অনুযায়ী, জুনে ক্রাইম ব্রাঞ্চ নায়ককে সেই প্রশ্ন পাঠালে তিনি উত্তর দেন, যে তিনি আপাতত দেশের বাইরে রয়েছেন এবং ২০১৩ সালের ঘটনা মনে করতে তাঁর সময় লাগবে। পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার নিশ্চিত করে জানান, ক্রাইম ব্রাঞ্চকে ইন্টারপোলের তরফেই প্রশ্নের জন্য রিমাইন্ডার পাঠানো হয়েছে। সেই মত সইফ আলি খানকেও তা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে তিনি আরও বলেন, তাড়াতাড়িই জবাব পাঠাবেন অভিনেতা। আর তার পরেই সইফের জবানবন্দী ইন্টারপোল টিমের কাছে পাঠাবে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যা পরে বুলগেরিয়ান জুডিসিয়াল অথোরিটির কাছে পৌঁছবে।
আরও পড়ুন, আবার প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে জুটি বাঁধছেন বিশাল ভরদ্বাজ
আধিকারিক জানিয়েছেন, ''শিকারের ব্যাপারে ধার্য মূল্য ছিল ২৪০০০ ইউরো. কিন্তু অভিনেতা মোটে ১৪০০০ ইউরো দিয়েছিলেন। এরপর তিনি বুলগেরিয়া থেকে চলে আসেন, এবং সেই কোম্পানি বাকি টাকার জন্য তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলে তিনি বলেন টাকা এজেন্টের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দিয়েছেন''।
পুলিশ জানিয়েছে, তবে এই এজেন্ট ওই টাকা না দেওয়ায় বুলগেরিয়ায় আইনের দ্বারস্থ হয় সংস্থাটি। ১৫ টা প্রশ্নের একটি সেট পাঠিয়েছে ইন্টারপোল যেখানে রোমানিয়ায় ২০১৩ র ট্রিপ ও শিকারের জন্য ওই কোম্পানির সাহায্য নেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, দীপাবলিতে নতুন শো লঞ্চ করবেন কপিল শর্মা
তবে সইফ আলি খানকে বহুবার ফোন করে ও মেসেজ পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তাঁর ম্যানেজার জানান, অভিনেতা শুটিংয়ে ব্যস্ত এবং এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না।