Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

'হাওয়ায় কাড়লো ভবিষ্যৎ, হাওয়ায় হাওয়ায় শব', আমফানের তাণ্ডবে বাংলার পাশে তারকারা

বুধবার ভয়ঙ্কর আমফানে তছনছ হয়ে গিয়েছে কলকাতা সহ প্রায় পুরো পশ্চিমবঙ্গ। তারকা থেকে সাধারণ মানুষ ভীত, অসহায়। সারা বাংলা একটাই প্রার্থনা করছে #প্রেফরবেঙ্গল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

"কাল রাতে মট মট শব্দ শুনে ভেবেছিলাম গাছ ভাঙছে, আজ বুঝলাম আমাদের শিরদাঁড়া" - একের পর এক পোস্টে বাংলার প্রতি দেশের অবহেলায় গর্জে উঠছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। শুধু তিনি নন, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, দেব, শ্রীজাত, নাম বলে শেষ করা যাবে না। এতদিন করোনা গৃহবন্দি ছিল মানুষ, কিন্তু বুধবার রাতের পর চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। সুপার সাইক্লোন আমফানের তাণ্ডব বাংলার ৭২ টি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ক্ষতির হিসাব পাওয়া দুষ্কর।

Advertisment

এমতাবস্থায় জাতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা। প্রশ্ন তুলে ব্যাঙ্গাত্মক পোস্ট করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, "জাতীয় সংবাদমাধ্যমের আমফান কভারেজ দেখে আমি অভিভূত। #PrayForBengal ট্রেন্ড করছে সবার উপরে। জানান দিচ্ছে ১৭৩৭-এর পর এত ভয়ঙ্কর সাইক্লোন দেখা যায়নি। অথচ কল-কাতা, বাঙ্গাল, রসোগোল্লায়েড এবং হামি তোমাকে ভালবাসি-র বাইরে বেরোল না। আর হ্যাঁ! জাতীয়সঙ্গীতটা রেখে দিতে পারেন।"

আরও পড়ুন, ”কান্না চেপে রাখতে পারছি না”, গর্ভস্থ সন্তানের উদ্দেশে চিঠি শুভশ্রীর

একের পর এক পোস্ট করেছেন রুদ্রনীল ঘোষ। প্রকৃতির কাছে অসহায় মনুষ্যজাতি। তিনি লিখেছেন, "অসুখ দিলেন, জীবন জীবিকা প্রাণ সব কেড়ে নিলেন! শেষে আজ নিরপরাধ গরীবের আশ্রয়টুকুও? এ কেমন পরীক্ষা?" প্রাণঘাতি সাইক্লোনের পর তছনছ হয়ে গিয়েছে তিলোত্তমা। হাওয়ার ভয়াল রূপ দেখে অভিনেতার পোস্ট, "হাওয়ায় কাড়লো গেরস্থালী, হাওয়ায় কাড়লো সব, হাওয়ায় কাড়লো ভবিষ্যৎ, হাওয়ায় হাওয়ায় শব।।"

টুইট করে তারকা সাংসদ দেব লিখেছেন, ''কাল রাতে খুব কাছ থেকে মৃত্যু ও ধ্বংস দেখেছি আমরা। যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। বাংলা আবার ঘুরে দাঁড়াবে। মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়াতে হবে এবং দয়া করে এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি থেকে বিরত থাকুন।'' সোশাল মিডিয়ায় বিধ্বংসী আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ কলকাতার ছবি পোস্ট করে শুভশ্রী লিখেছেন, ''প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী এত কাছ থেকে, ভয়ঙ্কর। শহরের অবস্থা দেখে কান্না পাচ্ছে।'' অন্যদিকে জলমগ্ন কলকাতা বিমানবন্দরের ছবি পোস্ট করেছেন রাজ চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন, বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের টক ঝাল সম্পর্ক, প্রকাশ্যে অমিতাভ-আয়ুষ্মানের তু তু ম্যায় ম্যায়

আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার বাড়িও। ভেঙে গিয়েছে জানলা, বাড়ির ফলস সিলিংও খুলে গিয়েছে, সারা বাড়ি জলে থৈ থৈ। রাত যত বেড়েছে ধ্বংসলীলা নৃশংস রূপ নিয়েছে। ইলেক্ট্রিসিটি নেই, তার ছিঁড়ে গিয়েছে, গাছ উপরে গিয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় তো মানুষ প্রাণে বেঁচেছেন এই ঢের।

মিমি চক্রবর্তী বললেন, ''একের পর এক লড়াই। প্রথমে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখন আমফান। আমরা লড়বই, আমরা একসঙ্গে বাঁচব, এগিয়ে যাব যেমনটা যাই।'' নুসরত লিখলেন, ''আমরা শুধু প্রার্থনা করতে পারি। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেল। কঠিন সময়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা পারবই।''

জয়া আহসান লিখেছেন, ''করোনাভাইরাসের সময় মানুষকে যখন শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, তখন কী হবে উপকূলের আশ্রয়কেন্দ্রে গাদাগাদি করে থাকা অসহায় মানুষগুলোর? ওদের পায়ের তলায় মহামারী, মাথার ওপরে প্রকৃতির তাণ্ডব। বুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছিল। সাইক্লোনের সে আঘাত তো এলই। বাংলাদেশের বিস্তর জায়গা তছনছ। পশ্চিমবঙ্গ তো মনে হচ্ছে প্রচণ্ড কোনো দৈত্যের পায়ের তলায় পিষে গেছে।''

আমফানের তাণ্ডবলীলায় কার্যত ধ্বংসের চেহারা নিয়েছে বাংলার একাংশ। কলকাতা-সহ রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্ত বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমফান পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইটারে বাংলার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সারা বাংলা একটাই প্রার্থনা করছে #প্রেফরবেঙ্গল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Dev mimi chakrabarty jaya ahashan Subhasree Ganguly Srijit Mukherji Rudranil Ghosh Nusrat Jahan
Advertisment