মাদ্রাজ হাইকোর্ট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের ১২,০০০ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যার মধ্যে ২,০০০ ওয়েবসাইট ছিল তামিলরকার্সের। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি পাইরেসির দৌরাত্ম্য।
কুখ্যাত পাইরেসি সাইট তামিলরকার্সের হাত থেকে রক্ষা পেল না চুলবুল পাণ্ডে। অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেল 'দাবাং থ্রি'। প্রভুদেবার পরিচালনায় এই ছবিতে অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী সিনহা, আরবাজ খান, মাহি গিল-এর মতো অভিনেতারা। আর মুখ্য চরিত্র সলমন খান। দক্ষিণী অভিনেতা সুদীপ ছবিতে ভিলেনের ভূমিকায়।
Advertisment
মুক্তির একদিনের মধ্যেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেল 'দাবাং থ্রি'। বেআইনিভাবে ছবি ডাউনলোড ও পাইরেসি কঠোর হাতে আটকানোর পরও এই ধরনের ঘটনা সিনেমা ব্যবসায়ীদের কাছে আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনকিছুই আটকাতে যাচ্ছে না তামিলরকার্সকে। বিভিন্ন ভাষার ছবি অনলাইনে লিক করে দেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয় তামিলরকার্স। কর্তৃপক্ষ তাদের আটকাতে ব্যর্থ কারণ তারা প্রতিনিয়ত তাদের ডোমেন পরিবর্তন করে চলে। এইচ ডি কোয়ালিটির প্রিন্ট তারা ফাঁস করে দেয়।
মাদ্রাজ হাইকোর্ট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের ১২,০০০ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যার মধ্যে ২,০০০ ওয়েবসাইট ছিল তামিলরকার্সের। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি পাইরেসির দৌরাত্ম্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের চলচ্চিত্র সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা এই ছবিতে দেড় স্টার দিয়েছেন। রিভিউতে তিনি লিখেছেন, ''দাবাং থ্রি হল সেই জাতীয় ছবি যেখানে নায়ক যদি নায়িকার রক্ষাকর্তা হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করে, তবে সেটাতে আপত্তির কিছু নেই। অবশ্য তা ছাড়া আর নায়কের কী-ই বা করার আছে। এমনকী ভিলেন বাল্লি সিং (সুদীপ)-এর নিয়তিও বাঁধাধরা– তাকে একপাল পালোয়ান দেওয়া হবে, একটা অবৈধ খনি দেওয়া হবে, সে সাইড-বিজনেস হিসেবে বেশ্যাদের নেটওয়ার্ক চালাবে আর তাকে দেওয়া হবে কিছু সংলাপ! কিন্তু সে-ও জানে, আমরাও জানি, শেষে কী হতে চলেছে।''
প্রসঙ্গত, পাইরেসি আটকানো অত্যন্ত কঠিন কাজ হওয়ায় আইন থাকা সত্ত্বেও বারংবার এ ঘটনা ঘটছে। ১৯৫৭ সালের কপিরাইট আইন সারা দেশেই প্রযোজ্য। এই আইন অনুযায়ী, কেউ প্রথমবারের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত হলে ৬ মাস থেকে তিন বছরের জন্য কারাবাস হতে পারে। জরিমানা হতে পারে ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।