বাস্তবিক জীবনের সঙ্গে সিনেমার মিল ঠিক কতটা জানা আছে? বেশ কিছু গল্পের প্রেক্ষাপট বলবে স্টার হওয়ার নেপথ্যে থাকে এক মরণপণ লড়াই। দিনের পর দিন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার এক প্রখর ইচ্ছে। সিনেমাটিক অ্যাঙ্গেলে কিংবা অভিনয়ে ভিন্নতা থাকলেও বিনোদুনিয়ায় সাফল্য পেতে গেলে লাগে তেজ এবং উদ্যমতা - পুরুলিয়া থেকে দিল্লিতে দাদাসাহেব ফালকের পথ খুব একটা সহজ ছিল না অভিনেত্রী ডগরমণি টুডুর। ভবিষ্যৎ নিয়ে অকপট অভিনেত্রী, জানালেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা -কে।
কেমন আছেন ডগর?
ভাল আছি। আপাতত পুরুলিয়াতেই আছি। দিন ভালই যাচ্ছে।
এই যে এত কম বয়সে এই এমন সাফল্য, পরিচিতি পেয়েছেন কেমন লাগছে?
পরিচিতি মানে বলতে পারেন কিছু মানুষ আমাকে চিনতে পেরেছে। এখন অনেকেই আমার কাজের প্রশংসা করেন। তারা আমার খোঁজ নেন।
অভিনয় করবেন ইচ্ছে এটা ঠিক কবে থেকে?
সেরকম কখন ইচ্ছে হয়েছিল বলতে পারব না। তবে হ্যাঁ থিয়েটার করেছি। মাঝে মাঝে নাটক অভিনয় করতাম তবে এই পুরস্কার পাব আশা করিনি।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছেন, কী রকম ছিল অনুভূতি?
অনুষ্ঠানটা নিউ দিল্লিতে হয়েছিল। আমি তো জানতামই না পুরস্কারটা পাব! সিক্রেট ছিল...শুধু বলা হয়েছিল আমরা মনোনীত, পুরস্কার পেতে পারি। এত গুলো লোকের মাঝে যখন আমি পৌঁছালাম, আমার নামটা বলল, আমি হকচকিয়ে গেছি। খুব ভয় লাগছিল যে স্টেজে উঠে কী বলব।
কলকাতায় আসা হয়?
কলকাতায় থাকি তো! পড়াশোনা করছি। আমি চাকরির জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভাল একটা চাকরি অবশ্যই পেতে হবে।
আরও পড়ুন খুনের হুমকিতেও ‘ডোন্ট কেয়ার’ সলমন, ভাইজানের ‘দাবাং’ মেজাজে ঘুম উড়েছে মুম্বই পুলিশের
চাকরি কেন? এত ভাল কাজ করছেন...
আসলে কী বলুন তো, আমি তো গ্রামের মানুষ আর সাঁওতালি সম্প্রদায় যাঁরা রয়েছেন তারা এখনও খুব গোঁড়া মানুষ। অভিনয় থিয়েটার এগুলোকে অতটা পছন্দ করেন না। আমার তো ইচ্ছে রয়েছেই, কিন্তু কr আর করার!
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কোনওদিন চেষ্টা করেছেন?
না, সেভাবে কোনওদিন চেষ্টা করা হয়নি। আসলে কলকাতায় এসে শুধু পড়াশোনায় মন দিয়েছি। সুযোগ হয়ে ওঠেনি আর।
আরও পড়ুন আর বাজানো হবে না রূপঙ্করের গান, Mio Amore-র পথে হাঁটল কলকাতার জনপ্রিয় রেস্তরাঁ
আশা ছবিটির আগে কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন?
এটা তো একজন আদিবাসী মেয়ের গল্প, যে একটু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। অনেক ওয়ার্কশপ করতে হয়েছিল। বেশ কিছু মানুষের সঙ্গে থেকে শিখেছি। ভাল লেগেছে কাজ করতে।
বাংলাদেশেও নাকি আপনি খুব জনপ্রিয়?
( হেসে ) সেভাবে নয়! আসলে ২০১৮ সালে ওখানে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলাম। তারপর থেকেই ওখানকার মানুষ আমায় চেনেন। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায়। ভাল ভাল মেসেজ করেন।