সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ 'ডাকঘর' নিয়ে ডামাডোলের অন্ত নেই। মিষ্টি গল্পে দর্শকদের মন জুড়িয়ে চোখ ভিজলেও, বিতর্কের চিঁড়ে ভেজেনি! পরিচালক বদল থেকে সিনেম্যাটোগ্রাফারের বকেয়া পারিশ্রমিক, যথাযথ কৃতজ্ঞতা না দেওয়ার মতো একাধিক বিষয়ে অভিযোগ এবং চর্চা শুরু হয়েছে। বিষয়টা ঠিক কী?
দিন দুয়েক আগেই পরোক্ষভাবে বিঁধে এক সুদীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। তাঁর স্বামী অভিষেক সাহা-ই এই সিরিজের প্রথম পরিচালক। তিনি সরে দাঁড়ানোর পর প্রযোজনা সংস্থার তরফে অভ্রজিৎ সেনকে আনা হয় পরিচালনার জন্য। অভিষেকের ইউনিটেই 'ডাকঘর'-এর ক্যামেরার দায়িত্বে ছিলেন মৃণ্ময় নন্দী। এবার তিনিই সোশ্যাল ওয়ালে বিস্ফোরক ঢিল ছুঁড়েছেন।
মৃণ্ময়ের দাবি, প্রযোজনা সংস্থার তরফে বকেয়া টাকা তাঁকে দেওয়া হয়নি। বারবার যোগাযোগ করলেও বিফল হতে হয়েছে তাঁকে। শেষমেশ ফোন ধরাই বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। শুধু অগ্রিম টাকা নিয়েই 'ডাকঘর'-এর শুট শুরু করেছিলেন মৃণ্ময়। তবে কোনও চুক্তিপত্রে সই হয়নি। তবে প্রযোজনা সংস্থার তরফে এক মেইলে তার অগ্রীম এবং বকেয়া টাকার হিসেব রয়েছে। সেটাই একমাত্র প্রমাণ। এখানেই শেষ নয়।
<আরও পড়ুন: রাত-বিরেতে সলমন-ঘনিষ্ঠের বাড়িতে..! ‘সুশান্তকে ভুলে নতুন বলির পাঁঠা?’ ভয়ঙ্কর অপমান রিয়াকে>
মৃণ্ময় নন্দী জানান, সিংহভাগ শুট তাঁর করা হলেও, সিরিজের ক্রেডিট লিস্টে দ্বিতীয় স্থানে তাঁর নাম দেওয়া হয়েছে। এমনকী প্রচারের সময়ও ডিওপি হিসেবে তাঁর নাম নেওয়া হয়নি। কেন ২বার করে শুট করা হল 'ডাকঘর'-এর? সেই প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি, প্রযোজনা সংস্থাকে প্রথমেই অভিষেক সাহার টিম জানিয়ে দিয়েছিল যে ১৮ থেকে ১৯ দিনের কমে এই শুটিং শেষ করা যাবে না। তবে ১৩ দিনের মধ্যে শুট শেষ করতে বাধ্য করা হয় তাঁদের। ফলে প্রথম পরিচালক অভিষেক মনের মতো অনেক শট নিতে পারেননি। পরে এডিট টেবিলে আরও সমস্যা হয়।
এদিকে, সুদীপ্তার স্বামী অভিষেক সাহা সিরিজের সম্পাদনা দেখার পর মতান্তর সৃষ্টি হয়। আরও কিছু শটের দরকার ছিল। সেই প্রেক্ষিতেই 'ডাকঘর' -এর জন্য পরে পরিচালক অভ্রজিৎ সেনকে ডাকা হয়। সেসব নিয়েই টলিপাড়ার অন্দরে জোর তরজা। মৃণ্ময় নন্দী জানান, বকেয়া পারিশ্রমিক না পেয়ে তিনি ইতিমধ্যেই সিনেম্যাটোগ্রাফার গিল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।