Darshana Banik As Suchitra Sen: বাংলা সিনেমার 'ক্যুইন অফ হার্ট' বললে যাঁর মুখ চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনি নান আদার দ্যান প্রয়াত কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন। দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় স্মরণীয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। ডাকসাইটে সুন্দরী সুচিত্রা সেনের হরিণী চোখ আর অসামান্য অভিনয় প্রতিভার মেলবন্ধনই তো সাদা-কালো চলচ্চিত্রের যুগে খ্যাতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছিল। সুচিত্রা সেনের নামের সঙ্গে জুড়ে যায় 'মহানায়িকা' তকমা। আজকের প্রজন্ম টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর অভিনয় দেখার সুযোগ পায়, কিন্তু, চাক্ষুস দেখার সৌভাগ্যটা হয়নি। রূপোলি দুনিয়ার তারকারা অবশ্য মহানায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন। সেই তালিকাটাও সীমিত। ঋতুপর্ণা থেকে পাওলি দাম, দর্শনা বণিকের মতো কিছু অভিনেত্রী সিলভার স্ক্রিনে সুচিত্রা সেনের রূপ ধারণ করেছেন।
'জমালয়ে জীবন্ত ভানু'-তে সুচিত্রা সেনের আদলে দর্শকের দরবারে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন দর্শনা। ৬ এপ্রিল মহানায়িকার জন্মদিনে এই ছবির শুটিংয়ের দিনগুলোর কথা ভেবে জিয়া নস্ট্যাল দর্শনা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে অভিনেত্রী বলেন, 'যেদিন সুচিত্রা সেনের চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাবটা পেয়েছিলাম সেদিন খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। এটা তো আমার পরম সৌভাগ্য। অভিনয় কেরিয়ারে এটা আমার কাছে খুব স্পেশাল একটা কাজ। কারণ আমি সুচিত্রা সেনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। শুধু কাজের প্রস্তাব বা অভিনয়টাই স্পেশাল ছিল না, অনুভূতিটাও ছিল ভীষণ আলাদা। তাই আমার কাছে সারাজীবন সুচিত্রা সেনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার জন্য এই ছবিটা মনের মণিকোঠায় রয়ে যাবে। আমি ওনাকে শ্রদ্ধা করি, আমার কাছে উনি পূজনীয়।'
প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যমালয়ে জীবন্ত মানুষ ছবির থেকে উৎসাহিত হয়ে ২০২২ সালে যমালয়ে জীবন্ত ভানু চলচ্চিত্রের ঘোষণা করা হয়। ছবিটি সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছিল ২০২৪-এর ১৫ নভেম্বর। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেনের ভূমিকায় দর্শনা বণিক, ভানুপত্নীর চরিত্রে দেবলীনা দত্ত, রুমা গুহঠাকুরতা হয়েছিলেন বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ছবি জুড়ে ছিলেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভাশিষ মুখোপাধ্যায় সহ প্রমুখ।