টলিপাড়ায় অভিনেত্রীদের একের পর এক অভিযোগ। তাঁর পাশাপাশি নায়িকারা এতদিন ঘটতে থাকা অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। একদিকে, যেমন ঋতাভরী চক্রবর্তী রয়েছেন, তেমনই অন্যদিকে রয়েছেন দেবলীনা দত্ত।
নারী নির্যাতনের প্রভাব রয়েছে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আরজি করের নারকীয় ঘটনার পর থেকেই মেয়েরা যেন সমস্ত ভয় দূরে সরিয়ে রেখে মুখ খুলেছেন। দেবলীনা দত্ত নিজেও পিছিয়ে নেই। তিনি এবার তাঁর তুতো দাদা অরিন্দম শীল হেনস্থার কবলে পড়তেই অন্য এক টলিউড তারকার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অভিযোগ করেছেন।
দাদা অরিন্দমের প্রসঙ্গে তিনি সমাজ মাধ্যমে লিখেছিলেন, 'সময় সব হিসেব নেয়। সময় সব বদলে দেয়'। কিন্তু পরে, মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলেন, আমি এতদিন কিছু বলিনি, "কারণ মানুষটা আমার দাদা। কিন্তু, আমি এবং মা দুজনেই বেশ আঘাত পেয়েছি তাঁর আচরণে।" এখানেই শেষ নেই। তাঁর পাশাপাশি নিজের সঙ্গে একরাতে বিদেশের বুকে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল, সেই নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
অভিনেত্রীর কথায়, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই একসঙ্গে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন। আমিও গিয়েছিলাম আমার মায়ের সঙ্গে। সেখানেই বাংলার এক বিখ্যাত অভিনেতা ছিলেন, যিনি জাতীয় স্তরেও বেশ জনপ্রিয়। হোটেলে একদিন, উনার ঘরে বসে আমরা সবাই আড্ডা দিচ্ছিলাম। কিন্তু, আমার মা ভুল করে তাঁর শালটা ফেলে আসে ওই অভিনেতার ঘরে। তারপর?
যে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি, আজও ভোলেননি। দেবলীনা বলেন, "উনি নৈশভোজের সময় আমার রুম নম্বরটা জেনে নিয়েছিলেন। রাত ঠিক ১২টা, আমার কাছে একটা ফোন আসে। উনি বলেন, মায়ের শালটা ফেরত নিয়ে যেতে। আমি যাই, গিয়ে দেখি শালটা সোফায় পরে আছে। আমি শালটা নিতে গেলে উনি দরজা বন্ধ করে মদ্যপ অবস্থায় আমার সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন। আমি দৌড়ে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করি।"
অভিনেত্রী জানান, তাঁর কি সায় নেই এই? এমনটাই জানতে চান সেই অভিনেতা। দেবলীনা প্রত্যাখ্যান করতেই তাঁকে চলে যেতে বলেন তিনি। দেবলীনা জানান, "তাঁর নাম আমি বলতে পারব না, কারণ তিনি এরপর যতবার আমার সামনে এসেছেন ততবার ভাল ব্যবহার করেছেন।"