গত রবিবার দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতিদের হামলায় আহত পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেএনইউ-তে উপস্থিত হন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। নিজের আসন্ন ছবি 'ছাপাক'-এর প্রচার করতে দিল্লি গিয়েছিলেন দীপিকা।
জেএনইউ যাওয়ার আগে দেশব্যাপী আন্দোলন এবং প্রতিবাদ নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। টিভি চ্যানেল 'আজ তক'-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার চলাকালীন তাঁকে প্রশ্ন করা হয় দেশে বাড়তে থাকা আন্দোলন এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ নিয়ে। জবাবে দীপিকা বলেন, "আমি যা বলতে চেয়েছিলাম, তা দু'বছর আগে 'পদ্মাবত'-এর মুক্তির সময়ই বলেছি। আজ যা দেখছি, তাতে খুব আঘাত পাচ্ছি। আমি আশা করব, এটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে না। যে যার যা ইচ্ছে বলে পার পেয়ে যাবে। ভয়ও হয়, আবার দুঃখও। এটা আমাদের দেশের ভিত নয়।"
এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে 'ছাপাক'-এর নায়িকা বলেন, "আমি গর্বিত যে নিজেদের মনের কথা বলতে ভয় পাই না। এটা ভালো যে আমরা আমাদের দেশ, দেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবছি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক, এটা দেখে ভালো লাগছে যে মানুষজন রাস্তায় নেমে তাঁদের মতামত জানাচ্ছেন।"
আরও পড়ুন: দীপিকা পাড়ুকোনকে চরম আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
দুটি সাক্ষাৎকারই দীপিকার জেএনইউ সফরের আগে দেওয়া।
দীপিকার পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁর অনেক সতীর্থই। সাধারণত কোনও ব্যাপারে স্পষ্ট অবস্থান না নেওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বলিউডের তারকাদের। ভূমি পেডনেকর, হুমা কুরেশি, রাজ বব্বর, নিখিল আডবাণী, নীরজ ঘেওয়ান, সুধীর মিশ্র, স্বরা ভাস্কর, এবং অনুরাগ কাশ্যপ সহ অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দীপিকার প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন।
দীপিকার আসন্ন ছবি 'ছাপাক' মুক্তি পেতে চলেছে ১০ জানুয়ারি।
তাঁর জেএনইউ সফর নিয়ে অবশ্য তুমুল ক্ষোভ প্রকাশও করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ, যার মধ্যে রয়েছেন বিজেপি সমর্থক এবং নেতানেত্রীরাও। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই দীপিকা সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মতামতে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। জেএনইউ-এর ছাত্রছাত্রীদের পাশে দীপিকার দাঁড়ানোর 'আসল কারণ' নিয়েও করা হয়েছে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য। তবে নেটপাড়ার আরেক অংশ এই গোটা ঘটনার প্রশংসাও করেছেন।
"দীপিকাকে পুলওমার সময় দেখা যায়নি, কাশ্মীরী পণ্ডিতদের পাশেও তিনি দাঁড়াননি, এখন সস্তার প্রচার করতে ছাত্রছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, #বয়কটছাপাক," এমনই মন্তব্য করেছেন এক টুইটার ব্যবহারকারী।