ফের সমস্যায় দীপিকা পাড়ুকোনের 'ছপাক'। এবারে বিষয়টি গড়াল বম্বে হাইকোর্ট পর্যন্ত। সামনেই মুক্তি, তার আগেই চিত্রনাট্য লেখার ক্রেডিট নিয়ে আইনি গেরোয় ছবি। রাকেশ ভারতী নামে এক লেখকের দাবি, ছপাক-এর চিত্রনাট্য তিনি লিখেছেন, অথচ ছবি লেখার ক্রেডিট তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না। পুরো বিষয়টি নিয়েই বম্বে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন তিনি।
ছবির চিত্রনাট্যের ক্রেডিটের দাবিতেই বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন ফাইল করেছেন তিনি। সাংবাদসংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ''পিটিশনে লেখা রয়েছে, ''অনেকদিন ধরেই গল্পটি নিয়ে বিভিন্ন শিল্পীদের দারস্থ হয়েছেন তিনি। এমনকী প্রযোজকদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছিলেন তিনি।''
বাঁ-দিকে দীপিকা, ডানদিকে লক্ষ্মী আগরওয়াল।
আরও পড়ুন, সিদ্ধার্থকে নিয়ে ঠিক কী সমস্যা, মুখ খুললেন রশমি
রাকেশ ভারতী দাবি করেছিলেন, তিনি তাঁর গল্পটি নিয়ে বেশ কয়েকজন শিল্পীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ছবির প্রযোজকরা "সম্পূর্ণ গল্পটাই রেখেছেন" যা মূলত তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। "যদিও প্রথমদিকে, সব শিল্পীরাই তাদের কাজটি নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, তবে কোনও না কোনও কারণে বিষয়টি পিছোতে থাকেন, ফলস্বরূপ, তিনি ছেলের সঙ্গে ছবিটির প্রযোজনার কাজ শুরু করতে পারেননি।" লেখকের দাবি, ইম্পাতে (ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রোডিউসর অ্যাসোসিয়েশন) 'ব্ল্যাক ডে' নামে ছবিটির রেজিস্ট্রেশনও করিয়েছিলেন তিনি।
লেখকের আরও দাবি, 'ছপাক' নির্মাতাদের বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী আদেশ জারি করা দরকার এবং যতক্ষণ না তাকে ছবি লেখার কৃতিত্ব তাঁকে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ সিনেমাহলে যেন মুক্তি না পায়। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনকাহিনিই সেলুলয়েডের পর্দায় নিয়ে আসছেন মেঘনা গুলজার।
কিছুদিন আগে লক্ষ্মীও কপিরাইটের মূল্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। প্রসঙ্গত, বছর ১২ বয়স হবে তখন, অ্যাসিড হামলা হয়েছিল লক্ষ্মীর উপর। ০১৪ সালে লক্ষ্মী আগরওয়ালকে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কারও প্রদান করেছিলেন মিশেল ওবামা। ‘ছপাক’ মুক্তি পাবে ১০ জানুয়ারী।