এই প্রজন্মের কাছে আবেগ দেব এবং শুভশ্রী। ৪৪৪৪ দিন পর, আবারো তারা এক মঞ্চে এলেন। তারা পারফর্ম করলেন, মানুষের সাথে কথা বললেন এবং সকলের মন জয় করলেন। দুজনের পরনে কালো রঙের পোশাক। সে বিখ্যাত জুটি, ধূমকেতুর ট্রেলার লঞ্চের মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন, জুটি হিসেবে আলোচনা করতে গেলে তাদের দুজনকেই দুজনের নামের থেকে সরিয়ে নেওয়া যাবে না। এত বছর পর নিজের ছবি রিলিজ করছেন তারা। তাদেরকে বহু বছর পর দেখা গেল একসঙ্গে।
নানান কথা উঠল নানান প্রশ্ন উঠল। সঙ্গে সঙ্গে মোক্ষম বিষয় জানা গেল তাদেরকে নিয়ে। টলিপাড়ার অন্তরে কান পাতলেই, তাদের দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে নানান ধরনের কথাবার্তা শোনা যায়। শুধু তাই নয়, তাঁদের নিয়ে আলোচনার থেকে বেশি সমালোচনা হয়। কিন্তু দেব এটা জানিয়ে দিলেন, যেদিন প্রথম প্রোডাকশন লঞ্চ করেছিলেন, সেদিন শুভশ্রীর বর রাজ চক্রবর্তীর কাছে প্রথম ফোনটা করেছিলেন। রাজ এবং তার মধ্যে অদ্ভুত নাকি মিল রয়েছে। তবে আরেকটা বিষয় খোলসা করলেন তারা। মতানৈক্য কিংবা মনোমালিন্য, আর্ট এবং ক্রাফট এর ক্ষেত্রে যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, এ কথাই তারা আবারও প্রমাণ করলেন।
সমাজ মাধ্যমে দুজন দুজনকে ফলো করতেন না। দূরত্ব ছিল এক মরু সম। তাই, ধুমকেতুর ট্রেলার লঞ্চের মঞ্চে, যখন তাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখা হলো একে অপরকে স্টক করেন কিনা, হাসতে হাসতে দেব জানিয়ে দিলেন যে আগে তো আমাকে ব্লক করে রেখেছিল শুভশ্রী এখন হবে আনব্লক হয়েছে। বেশ কয়েকটি মজার কথা ঘোষণা করলেন। দেবকে বলতে শোনা গেল, দুজন দুজনকে তখনই স্টক করতাম যদি দুজনের জীবনে একটু সময় থাকতো। আমাদের কাছে শ্বাস নেওয়ার জন্য সময় কম পড়ে। অভিনেতা আরো বললেন, "শুভশ্রী এত বড় স্টার হয়ে গেছে আমি না চাইলেও ও আমার ফিডে থাকে। আমি না চাইলেও ওর একটা হোর্ডিং আমাকে দেখতে হয়।"
এরপরই শুভশ্রীকে বলতে শোনা গেল, আমি দেব কে বলতে শুনেছি, ওর সঙ্গে নাকি আমার আগে দেখা হয়নি। কিন্তু এই শেষ দশ বছরে ওর সাথে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে, কিংবা অনেক ছবির প্রিমিয়ারে আমার দেখা হয়েছে। কিন্তু অভিনেতা সাফ জানিয়ে দিলেন সেই দেখা হওয়া ছিল, উত্তর এবং দক্ষিণ পোলের মতো। তবে এই মঞ্চে আরেকটি ভালো ঘটনা ঘটেছে। দেব এবং শুভশ্রী সমস্ত, ধোঁয়াশা কাটিয়ে নিজেদেরকে সমাজ মাধ্যমে আবার একে অপরকে ফলো করেছেন। দেব যেইমাত্র ব্লক আনব্লক এর কথা বললেন, সঙ্গে সঙ্গে তেড়ে-ফুঁড়ে উঠলেন শুভশ্রী। সোজা সাপটা তাকে বলতে শোনা গেল, "ব্লকটা করল কে?"
যদিও, দুই সুপারস্টারের ভক্তদের কাছে এক আনন্দের কথা, অনেকটা বাধা সরিয়ে তারা নিজেদের জীবনে এগিয়ে গেলেও, ফের একবার ভক্তদের জন্য এক হয়েছেন তারা। এবং ভীষণ আনন্দ দিয়েছেন সকলকে।