দেব অভিনেতা হিসেবে কতটা ভাল, সেকথা সকলে না বললেও দেব প্রযোজক হিসেবে কতটা দক্ষ সেকথা অনেকেই বলে থাকেন। দেব, একটা বিরাট ব্যাপার! তাঁর নামের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর আচরণকেও অনেকেই মিলিয়ে নেন। কারণ, তার ঘ্যাম থাকবে। তাঁর মধ্যে একটা ঔরা থাকবে। কিন্তু...
Advertisment
এর আগেও অঞ্জনা বসু বলেছিলেন, দেব যে এতটা মাটির মানুষ সেটা ওর সঙ্গে কাজ না করলে জানতাম না। আর এবার, বাঘা যতীনের পরিচালক অরুণ রায়। দেবের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এত সহজ এবং সরলভাবে কাজ হয়ে যাবে আশা করেননি। বিশেষ করে, যতীন মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী ইন্দুবালা দেবীর খোঁজে আকাশ পাতাল এক করে ফেলেছিলেন দেব। পরিচালকের কথায়, "দেবকে একবার শুধু বলেছিলাম, নতুন একটা ফ্রেশ মুখ লাগবে। নাহলে বিষয়টা ভাল লাগবে না। ও সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেল। আমায় বলল, তুমি শুরু করে দাও, যা যেভাবে করতে হয়।"
সৃজাই যে হবেন ইন্দুবালা, একথা অভিনেত্রী আশাও করেননি। তাহলে কিভাবে? দেবের নায়িকা হওয়ার পথ নিতান্তই সোজা নয়। ৬০০০ / ৭০০০ এন্ট্রি থেকে দেবের নায়িকা হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ইন্দুবালাকে। দেব বলছেন, "গবেষণা করতে গিয়ে দেখলাম যে খুব বেশি রেফারেন্স ওনার স্ত্রীর পাচ্ছি না আমরা। যেটুকু বুঝেছিলাম, এমন একজনকে লাগবে, যার সঙ্গে সেই পিরিয়ডটাকে মানানো যায়। একদম অন্যরকম একটা ফেস খুব দরকার ছিল।"
সৃজা, অর্থাৎ ইন্দুবালা অভিনয় করেন আগেই থেকেই। মডেলিং করেন। কিন্তু তাঁর ভাগ্য যে এভাবে সঙ্গ দিয়ে দেবে এটা আশাও করেননি। কারণ? কোনও পোর্টফোলিও ছিল না। সামান্য ফোনে তোলা ছবিই অডিশনের আগে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই দেখেই যে ভাল লেগে যাবে, সেটা আশা করেননি। গ্রাউন্ড অডিশনে গিয়েই তাক লাগিয়ে দেন তিনি। লুক টেস্ট হয়, সংলাপ বলার ধরণ মন ছুঁয়ে নেয় সকলের।
শাড়িতেই অডিশন দিতে হয়েছিল তাঁকে। একদম প্রায় নো মেকাপ লুক... তৎকালীন সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে, সৃজাকে সাজানো হয়েছে। নতুন নায়িকাদের সঙ্গে প্রায়শই কাজ করছেন দেব। এমনকি পরবর্তী ছবিতে দেব সৌমীতৃষার সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রধানের শুটিংও শেষ হতে চলল। কলকাতায় ফিরেই বাকি শুটিং সারবেন সকলে।