Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যখাতে অর্থদান দেবের, নার্সদের কাছে ক্ষমা চাইলেন ঘাটাল সাংসদ

জানা গিয়েছে বৈঠকে বারংবার যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হল পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এলে তাঁদের এবং বাড়ীর লোকজনকে কীভাবে কোয়ারেনটাইনে রাখা যায়। সেই বিষয়টি নিয়েই আধিকারিকদের পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছেন অভিনেতা-সাংসদ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা মোকাবিলায় ঘাটালের পাশে দেব। ফোটো- টুইটার

করোনার থেকেও দেশে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা। ফিরতি পথে সেই সকল শ্রমিকদের নির্মম মৃত্যু ভাবিয়ে তুলেছে দেশকে। সেই প্রেক্ষাপটে করোনা মোকাবিলায় সাংসদ কোটার সমস্ত অর্থ স্বাস্থ্যখাতে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। তিনি বলেন যে এই মুহুর্তে তাঁর সাংসদ তহবিলে এক কোটি টাকা জমা আছে। আরও যেসব অর্থ তিনি পাবেন তার সবটাই তিনি স্বাস্থ্যখাতে খরচ করবেন। এ বিষয়ে সকল সাংসদকেই এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন অভিনেতা-সাংসদ।

Advertisment

পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও চিন্তিত দেব। তারকা সাংসদের আশঙ্কা এভাবে পরিস্থিতি এগোতে থাকলে করোনায় যত সংখ্যক মানুষ মারা যাবেন তার থেকে বেশী শ্রমিকদের প্রাণ যাচ্ছে পথে। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় প্যাকেজের সমালোচনাও করেছেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে দেব বলেন, "কুড়ি লক্ষ কোটি টাকা প্যাকেজের মধ্যে যদি শ্রমিকরা যে যেখানে আছেন সেখানের বাড়ির মালিকদের তিন মাসের ভাড়া মকুব এবং শ্রমিকদের দু'বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকত তাহলে অনেক বেশী উপকার হত তাঁদের জন্য।"

আরও পড়ন, বলিউড ছবির অনলাইন রিলিজ ঘিরে তরজা তুঙ্গে, মাঠে নামল প্রোডিউসার্স গিল্ড

এদিন জেলা পরিষদের আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় বিধায়কদের নিয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে মেদিনীপুর এসেছিলেন সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী। বৈঠক শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, মাত্র চার ঘন্টার নোটিশে লকডাউন হলে কোনও শ্রমিক বাড়ি ফিরতে পারবে না এটাই বাস্তব। কিন্তু সেই বিষয়ে কোনওরকম রাজনীতি চান না তিনি। উল্লেখ্য, তাঁর সংসদীয় এলাকাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার সংখ্যা বেশি।

জানা গিয়েছে বৈঠকে বারংবার যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হল পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এলে তাঁদের এবং বাড়ীর লোকজনকে কীভাবে কোয়ারেনটাইনে রাখা যায়। সেই বিষয়টি নিয়েই আধিকারিকদের পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছেন অভিনেতা-সাংসদ। দেব বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিক একটা বড় সমস্যা এই মুহূর্তে। সরকার অনেক রকম ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সাংসদ হিসেবে আমার যত তহবিল তা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে দেওয়া উচিত। কারণ করোনা কোনোভাবেই যাবে না। একটা সময় আমাদের লকডাউন তুলতেই হবে। মানুষের আর্থিক প্রয়োজনে সরকারকে বাধ্য হয়ে লকডাউন তুলতে হবে। তাই এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোটাকে আরও ঠিক করা দরকার। জেলাশাসককে আমি জানিয়েছি আমার সাংসদ কোটার তহবিল এই খাতে ব্যয় করতে।"

আরও পড়ুন, ”গুজবে কান দেবেন না”! পরিবারকে নিয়ে ভুয়ো খবরে বিরক্ত কোয়েল

অন্যদিকে, কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালের নার্সদের একাংশের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নেপথ্যে এক রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন দেব, এমনটাই অভিযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর। এদিনের বৈঠক থেকে দেব বলেন- "এই মুহূর্তে ওরাই ঈশ্বর ছিল। চরম মুহুর্তে ওদের চলে যাওয়াটা দুঃখজনক। হাত জোড় করে অনুরোধ করছি ওদের থাকার জন্য। আমাদের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে ক্ষমা করে আমাদের কাছে থাকুন। এই মুহূর্তে আপনাদের সবচেয়ে বেশি দরকার।" শনিবারের এই বৈঠকে দেব, মানস ভুঁইয়া ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক দীনেন রায়-সহ প্রমুখেরা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Dev coronavirus
Advertisment