নন্দনে স্লট পাওয়া নিয়ে টলিউড পরিচালকদের দ্বন্দ্বের উদাহরণের অন্ত নেই। এর আগে 'অপরাজিত', 'শ্রীমতি', 'বিসমিল্লা' থেকে শুরু করে 'X= প্রেম'-এর মতো একাধিক সিনেমার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেছে। নন্দনে স্লট না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ লেগেই থাকে। এবার কিনা সরকারি হলে ঠাঁই হল না খোদ সাংসদ-অভিনেতারই সিনেমার। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন দেব।
প্রসঙ্গত, বড়দিনের প্রাক্কালে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে 'প্রজাপতি'। দেব-মিঠুন জুটি। বাবা-ছেলের সমীকরণ দেখে প্রেক্ষাগৃহ থেকে আবেগঘন মন নিয়ে বেরিয়েছেন দর্শকরা। পর্দায় দুই সুপারস্টারকে একসঙ্গে দেখে হলজুড়ে ফেটে পড়েছে হাততালিতে। দর্শকরাও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সিনেসমালোচকরাও মার্কসিটে ভাল নম্বর বসিয়েছেন। কিন্তু শহরে সিনেপ্রেমিকদের তীর্থক্ষেত্র নন্দনেই কিনা স্থান পেল না 'প্রজাপতি'। দেব কিন্তু ইতিমধ্যেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করেছেন দেব। নন্দনে স্লট না পাওয়া নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বললেও বাঁকাভাবে খানিক ব্যঙ্গই করেছেন সাংসদ-অভিনেতা। সেখানে লেখা- "এবার তোমাকে মিস করব নন্দন। কোনও ব্য়াপার না। আমাদের আবার দেখা হবে। গল্প শেষ।" সেই লেখায় এক ক্যাপশনও জুড়েছেন দেব। লিখেছেন, "শুধুমাত্র লেজেন্ডরাই এর অর্থ বুঝতে পারবেন।"
<আরও পড়ুন: ‘নেতা-মন্ত্রীদের কাজ নেই! শুধু হিন্দু-মুসলিম কপচান..’, ‘বেশরম’ বিতর্কে চরম কথা স্বরার>
দেবের পোস্টের নিচে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তাঁর অনুরাগীরাও। তাঁদের মন্তব্য, 'উলটে নন্দন-ই তোমাকে মিস করবে দেবদা..।' প্রসঙ্গত, এই ছবিতে রয়েছেন গেরুয়া শিবিরের তারকা সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীও। এবার নন্দনে স্লট না পাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটপাড়ার একাংশের মত, মিঠুন বিজেপি করেন বলেই কি নন্দনে ব্রাত্য এই ছবি? সেই উত্তর যদিও মেলেনি। তবে সিনেমার সেটে কিন্তু রাজনৈতিক রং ভুলেই দেব-মিঠুন একসঙ্গে কাজ করেছেন। এমনকী, দেবের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা-বাবার সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন মিঠুন।
প্রসঙ্গত, নন্দনে স্লট দেওয়ার একটা পদ্ধতি রয়েছে। সাধারণত যে সব সিনেমা চলছে, সেগুলো অন্তত ২ সপ্তাহ করে রাখা হয়। তারপর নতুন সিনেমাকে জায়গা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে নন্দনে 'দোস্তজি', 'হামি ২'-র পাশাপাশি স্লট পেয়েছে।