'কলিযুগে বাঁচতে গেলে টাকার প্রয়োজন!'-- বললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-ই। আর তারপরই নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দেবকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার যড়যন্ত্র করলেন অভিনেতা! শেষমুর্হূর্তে 'কাছের মানুষ' ভেস্তে দিল প্রসেনজিতের প্ল্যান।
এতটা পড়ে চমক ওঠা স্বাভাবিক। তবে এপ্রসঙ্গে বলে দেওয়া ভাল যে, দেবের মৃত্যুর ষড়যন্ত্রকারী প্রসেনজিৎ আসলে বাস্তবে এমনটা ঘটাননি। এই গল্প সিনেমার। 'কাছের মানুষ'-এর। শুক্রবার যার ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই দেখা গেল এক বিমা কোম্পানির এজেন্ট কীভাবে এক ছাপোষা মানুষকে নিজে মুনাফা লোটার জন্য মৃত্যুমুখে ঠেলে দিল।
'ককপিট'-এর পর আবারও কাছাকাছি একফ্রেমে দেব-প্রসেনজিৎ। ২০১৭ সালের মন কষাকষি ভুলে আবারও তাঁরা 'কাছের মানুষ' হয়ে উঠেছেন। নেপথ্যে পরিচালক পথিকৃত বসু। চারিদিকে মুখোশের ভিড়ে কি কাছের মানুষকে চেনা যায়? আমাদের মন খারাপের খবর কি রাখে কাছের মানুষ? টিজারেই এই প্রশ্নগুলো ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। এবার ট্রেলারে যত্ন করে সেসব প্রশ্নের উত্তর দিলেন দেব-প্রসেনজিৎ।
পথিকৃৎ বসু পরিচালিত 'কাছের মানুষ'-এর ট্রেলারে দেখা গেল এক ভিন্ন স্বাদের গল্প। এরকম ফাঁদ আমাদের চারপাশে নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। কারও পৌ। মাস তো কারও সর্বনাশ! কীরকম? গল্পে কুন্তল ওরফে দেবের মা ছেলের ওপর অভিমান করে সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত তিনি। যে কারণে উঠতে-বসতে দেব আত্মগ্লানিতে ভোগে। কীভাবে মায়ের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেবেন, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না। এমতাবস্থায় হঠাৎ-ই একদিন কুন্তল ওরফে দেবের সঙ্গে ধূমকেতুর মতো আলাপ হয় এক বিমা সংস্থার এজেন্টের। এখানেই গল্পেট টুইস্ট!
<আরও পড়ুন: ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সোনম, নাতি আসার আনন্দে মিষ্টি বিলি ‘দাদু’ অনিলের>
বিমা কোম্পানির এজেন্ট সুদর্শন ওরফে প্রসেনজিৎ দেবকে বোঝায়, একটা বিমা করানোর জন্য। যেখানে সে মরলে সমস্ত টাকা যাবে তাঁর মায়ের চিকিৎসার খাতে। আত্মগ্লানিতে ভোগা দেব রাজিও হয়ে যায়। চলতে থাকে যড়যন্ত্র। কীভাবে মরলে মৃত্যুযন্ত্রণা কম পোহাতে হবে, সেসব আলোচনাও হয়। কিন্তু এসবের মাঝেই হঠাৎ একদিন কুন্তলের সঙ্গে আলাপ হয় এক সাদামাটা মিষ্টি মেয়ের। যে চরিত্রে রয়েছেন ইশা সাহা। তাঁর সঙ্গে মিলেমিশে দেবের আত্মহত্যার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। খবর পেয়ে অগ্নিশর্মা বিমা এজেন্ট সুদর্শন ওরফে প্রসেনজিৎ, মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেন দেবকে। তারপর? বাকি গ্লপ জানতে হলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর যেতে হবে প্রেক্ষাগৃহে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন