/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/Dia-Mirza.jpg)
দিয়া মির্জা এবং বৈভব রেখী যথেষ্ট অনুভূতিপ্রবণ তাদের সন্তান অভ্যানের আগমনে।
সন্তান মানেই নিজের হৃদয়ের সবটুকু যখন চোখের সামনে থাকে, গোটা পৃথিবীর সামনে সে যখন গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়ায় - দিয়া মির্জা এবং বৈভব রেখী যথেষ্ট অনুভূতিপ্রবণ তাদের সন্তান অভ্যানের আগমনে।
দিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রামে বুধবার জানান, তাদের পুত্র সন্তান অভ্যান নির্ধারিত সময়ের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়েছে অর্থাৎ প্রিম্যাচিউর বেবি। ১৪ মে তাদের হৃদয়ের টুকরো, অভ্যান পৃথিবীর আলো দেখে, যেহেতু সম্ভাব্য সময়ের আগেই তাই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা হাসপাতালের নার্স এবং ডাক্তাররা তাঁর সন্তানের যত্ন নিয়েছেন। এই একমাস সে আইসিইউ-তেই স্পেশাল কেয়ারে ছিল। দিয়া এবং বৈভব যথেষ্ট আপ্লুত তাদের আদরের অভ্যানকে পেয়ে।
দিয়া জানান, তাঁর গর্ভাবস্থার সময়ে হঠাৎ অ্যাপেন্ডেকটমি এবং পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে সেপসিস হতে পারে, যা প্রাণঘাতী হতে পারে সেই কারণেই ডাক্তাররা সময় মতো এবং প্রয়োজনে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে তাঁর সন্তান এবং তাঁর প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
দিয়ার বিয়ের সময় থেকেই তাঁর গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি নজরে এসছিল সকলের, এমনকি কিছুদিন পর দিয়া নিজেও তাই জানিয়েছিলেন। তাঁর সন্তানের আগমনের খবরটি প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, তাঁর অনুরাগী থেকে বন্ধুমহল প্রত্যেকেই বিস্মিত। তাঁদের মধ্যে অনেকেই, দিয়া এবং তাঁর পুত্রের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন রবি ঠাকুরের গানে নিজেকে জড়ালেন বিদ্যা! প্রিয় শাড়িতে ‘একলা চলো রে’ ডাক
সন্তান যেন এক নিরাময় আশ্চর্যের প্রতীক। প্রতিদিন তাকে একটু একটু করে বড় হতে দেখা, তার হাসি, তার ছোটো ছোটো প্রতিক্রিয়া পিতৃত্ব এবং মাতৃত্বের এক অভূতপূর্ব আনন্দ। বাবা এবং মায়ের কর্তব্য কোনওরকম ভয় না পেয়ে, সেই ছোট্ট প্রাণকে নিজের সাধ্যমতো, খুশি এবং ভালোবাসা দিয়ে লালন পালন করা।
দিয়া ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেই সমস্ত মানুষকে, যাঁরা তাঁকে এই সময়ে নানান ভাবে সাহায্য করেছেন। তাঁদের সন্তান এখন সুস্থ আছে এবং প্রতিনিয়ত তাঁরা বাবা-মা হিসেবে অনেক কিছুই শিখছেন। দিয়া তারঁ সমস্ত কাছের মানুষ এবং তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তাদের সন্তানের জন্য আশীর্বাদ এবং শুভকামনা চেয়ে পরবর্তীতে দেখা হবে, সবার সঙ্গে কথা হবে এমনটাই আশা রাখেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন