"এই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় রগড়ে দেব…" বলতে শোনা গেল খোদ সোহিনী সেনগুপ্তকে। দর্শকদের কাছে যিনি কিনা বর্তমানে অতিপরিচিত টেলিপর্দার 'পুটুপিসি' হিসেবে। কী এমন হল, যার জন্য সোহিনী শাসালেন ইন্ডাস্ট্রির বুম্বাদাকে।
Advertisment
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের সময় দিলীপ ঘোষ শিল্পীদের রগড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতির যে মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল বঙ্গ-রাজনীতি। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সিংহভাগ শিল্পী-ই প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। এমনকী, রাজ্য বিজেপির তারকা সদস্যরাও এমন কটুক্তির জবাব দিয়েছিলেন দলীয় নেতা দিলীপকে। বছর ঘুরে আবারও সেই সমলাপ এখন নেটমাধ্যমে ভাইরাল। নেপথ্যে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি 'আয় খুকু আয়'।
সম্প্রতি সেই সিনেমার ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। সেখানেই ইঙ্গিত মিলল যে ছবির গল্পে সোহিনী সেনগুপ্ত এক রাজনীতিক। এলাকার বিধায়ক পুতুলরানি বাগচী। সেই তিনিই ভরা মঞ্চে প্রসেনজিৎকে শাসালেন- "রগড়ে দেব।" ট্রেলারে এমন দৃশ্য দেখার পর কারোর-ই আর বুঝতে বাকি থাকেনি যে গত বছরের 'দিলীপ-উবাচ'কেই সিনেমার সংলাপ হিসেবে ব্যবহার করেছেন পরিচালক শৌভিক কুণ্ডু।
জেনেবুঝেই এমন রাজনৈতিক কটাক্ষ করেছেন শৌভিক। এপ্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে পরিচালক জানান, কুখ্যাত এই সংলাপ ব্যবহার করার একমাত্র কারণ, বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সামগ্রিক একটা রূপ তুলে ধরা মাত্র। তবে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় করা এমন সংলাপ ব্যবহার করার পর সেন্সর বোর্ডের তরফে কিন্তু কোনওরকম কাটছাঁট করা হয়নি। বরং, 'আয় খুকু আয়' সিনেমার ট্রেলারের ওই দৃশ্য এখন নেটদুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর সংলাপ-বলিয়ে সোহিনীও
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন