দীপিকার বেশরম রং আলোড়ন তুলে দিয়েছে চারপাশে। বিশেষ করে এই গানে তাঁর পরিহিত পোশাক এবং নাচের মুভমেন্ট নিয়েই আপত্তি তুলেছেন অনেকে। হিন্দু সংগঠন থেকে আরএসএস ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় সংস্থার তরফে নানান অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দাবি একটাই, আপত্তিকর দৃশ্য দেখানো চলবে না। এবার এই প্রসঙ্গেই দীপিকা শাহরুখের পাশে পরিচালক ওনির।
স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সবসময়ই নিজের মন্তব্যে অটল থেকেছেন পরিচালক। নিন্দুকদের সপাটে একহাত নিলেন তিনি। বিশেষ করে যারা এই পোশাক এবং দেখানো দৃশ্য নিয়ে হইহই রইরই শুরু করেছেন তাঁদের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন তিনি। ট্যুইট করে তিনি বলেন,” আমি ভাবতে পারছি না একগুচ্ছ রাজনীতিবিদদের কাছে এখন সবথেকে আলোচ্য এবং গুরুত্বপূর্ন বিষয় এটা ( যারা খ্যাতির জন্য ঘৃণার প্রচার করে এবং দেশকে ভাগ করার জন্য উস্কে দেয় ) একটি গান এবং তাতে দুই অভিনেতার পরিধান করা পোশাক নিয়ে এত ঝামেলা”?
আরও পড়ুন [ হঠাৎ করেই দুঃসংবাদ! কাছের মানুষকে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান অভিনেতা দেব ]
তবে এখানেই থামেন নি তিনি। সোজা তোপ দাগলেন পরিচালক। বললেন, “ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডের কোনও দরকার নেই। আইন এজেন্সির কোনও প্রয়োজন নেই। এখন গুন্ডারা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা কি ছবি দেখব আর কোনটা না? কি অদ্ভুত সময় এল”! পরিচালক যেন ভারতীয় সিনেমার প্রতি সাধারণ মানুষের এই ক্ষোভ দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত। একেই দীপিকার গেরুয়া রঙের খোলামেলা পোশাক দেখে রেগে আগুন অনেকেই। হিন্দুত্ববাদীদের তরফে নানান প্রশ্ন উঠছে। এখন দিন রিলিজের অপেক্ষা শুধু।

যদিও দীপিকার পোশাক দেখে হতবাক টেলিভিশনের শক্তিমান। তিনিও ক্ষোভ উগরে বলেছিলেন, আজ তো তাও কিছু পড়ে রয়েছে। এরপর না পরেই আসবে। এটা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত নয় বরং, এটা অশ্লীলতা। এই ছবি পাশ করানোই উচিত নয়। আমরা ভারতের মানুষ, ফ্রান্স বা বিদেশের নয়।
সিনেমার প্রয়োজনে কত কিছুই না করতে হয়, যদিও দীপিকার আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারিণী বলেই সাধুবাদ দিচ্ছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বন্সাল বলেন, “গেরুয়া রঙের অবমাননা করছেন দীপিকা। একজন হিন্দু মহিলা গেরুয়া রঙের পোশাক পরে ইসলামী জিহাদিদের পুতুল হিসেবে কাজ করছে। রাষ্ট্রদ্রোহের একটা সীমা আছে। লিউডকে কলঙ্কিত করে এই ভাই ও টুকডে টুকডে গ্যাংকে হিন্দু সমাজ আর সহ্য করবে না।”