Ditipriya: এক-দু' রাত জেগেই শরীরে ক্লান্তির ছাপ? কাজের বাড়তি চাপে জীবন নাজেহাল? আপনার যদি এমনটা হয় তাহলে একটিবার 'করুণাময়ী রানি রাসমনি' খ্যাত দিতিপ্রিয়াকে দেখে নিন। একশো শতাংশ নিশ্চিত, আপনার ভাবনায় বদল আসবে। বদলে যাবে মানসিকতা, কাজের প্রতি বাড়বে একাগ্রতা। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া সম্পর্কে এতগুলো শব্দ ব্যায় করার নেপথ্যে রয়েছে তাঁর অদম্য জেদ-সাহস। 'রাতজাগা তারা' হয়ে মাস্টার্সের থিসিস তৈরি করেছেন। শুটিংয়ের ফাঁকে বাদ যায়নি ইন্টার্নশিপও। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অনুপ্রেরণাদায়ক পোস্ট শেয়ার করেছেন দিতিপ্রিয়া।
যেখানে তিনি লিখেছেন, কী ভাবে নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছেন। সুপারভাইজারের সাথে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে থিসিস পেপার জমা দিয়েছেন। অভিনয় পেশার সঙ্গে পড়াশোনা সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দিতিপ্রিয়া। যাঁরা ভেবেছিলেন পেশার কারনে তিনি দশম শ্রেনির গণ্ডিও পেরতে পারবেন না, তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে মাস্টার্স পাশ করার এই জার্নি গোটা জীবন মনে রাখবেন। জীবনের পরবর্তী লক্ষ্য কী?
দিতিপ্রিয়া জানান, 'পিএইচডি-র জন্য প্রস্তুতি নেব। নেট পাশ করার লক্ষ্য নিয়ে এগব। স্বপ্ন তো অনেক আছে।' একদিকে একের পর এক কাজের প্রস্তাব অন্যদিকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। দু'দিক সামলে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটা কতটা কঠিন? দিতিপ্রিয়ার স্বতস্ফূর্ত জবাব, 'মাস্টার্সে Dissertation পেপারটাও কিন্তু, মারাত্মক কঠিন। প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়। তৃতীয় সেমিস্টারে Dissertation-এর জন্য প্রায় ১৫ দিন একটানা রাত জেগেছি। সকাল আটটা নাগাদ শুটিংয়ে যাই। ন'টা-দশটা পর্যন্ত শুটিং করে বাড়ি ফিরি। ৩০ এপ্রিল শুটিং করে বাড়ি ফিরেছিলাম রাত ৯ টায়। রাতে খেয়ে সাড়ে দশটা নাগাদ পড়তে বসেছি। ১ মে আমাদের ছুটি ছিল। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পড়েছি। তারপর স্নান করে খেয়ে বিকেল চারটে পর্যন্ত একটু ঘুমিয়ে আবার পড়তে বসেছি।'
আরও বলেন, 'পরীক্ষা তো আমরা পড়াশোনা করে হলে গিয়ে লিখে দিই। কিন্তু, Dissertation টা একদম অন্যরকম। আমাদের প্রেজেন্টেশনটাো খুব কঠিন হয়। গ্রাজুয়েশনেও Dissertation করেছি। তবে এতটা কঠিন ছিল না। মাস্টার্সে আমাকে একটা ইন্টার্নশিপও করতে হয়েছে। শুটিংয়ের মাঝে ১৪ দিন একটা NGO-তে আমি সেটাও করেছি। সব মিলিয়ে আমি যে পরিস্থিতিতে মাস্টার্স শেষ করেছি আশা করি আগামীতেও এইভাবেই সবদিক সামলে ঠিক নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।'
তবে দিতিপ্রিয়ার কাছে কিন্তু, পড়াশোনা-রেজাল্ট সব কিছুর কাজে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল একজন ভাল মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করা। তাঁর কথায়, ' আমি তো ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক হয়েছিলাম। আজ তো আমার কাছে কেউ সেই নম্বরটা জানতে চায় না। একমাত্র পড়াশোনা বা চাকরিজীবনের ক্ষেত্রে ওটা কাজে লাগে। তাই ব্যবহারটা সবার আগে ভাল হওয়া খুব দরকার। তাহলেই মানুষের ভালবাসা-আশীর্বাদ পাওয়া যাবে। জীবনের অভিজ্ঞতার থেকে বড় আর কিছু নয়।'
আরও পড়ুন যাদবপুরেই প্রথম পরমদাকে দেখেছিলাম আর দেখেছি চন্দ্রবিন্দুর কনসার্ট, কলেজ জীবনের বিরাট প্রাপ্তি: দিব্যণী মন্ডল