রিলিজের আগে থেকেই আলোচনায় 'দোস্তজী' ছবি। প্রসূন চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তো বটেই, এমনকী স্বদেশের মাটিতেও কম প্রশংসা কুড়োয়নি। বিশেষ করে নজর কেড়েছে গ্রামবাংলার তিন খুদে আনকোরা মুখ- আশিক, আরিফ এবং হাসনাহেনা। আর জীবনের পয়লা সিনেমাতেই অভিনয়েবাজিমাত করেছে বাংলার এই তিন খুদে শিল্পী। আর সেই ভাল কাজের পুরস্কারও পেল তারা।
Advertisment
রঘুনাথগঞ্জের এক আবাসিক স্কুল গাইডেন্স একাডেমির তরফে আশিক, আরিফ এবং হাসনাহেনাদের একেবারে বিনামূল্যে পড়াশোনা করানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন। 'দোস্তজী' ছবির এই তিন খুদে পড়ুয়াকেই পুরো স্কলারশিপ দিয়ে তাঁদের আবাসিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ করে দিল গাইডেন্স একাডেমি। এটা যে নিঃসন্দেহে এক অভিনব উদ্যোগ তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের তরফে ৮টি পুরস্কার গিয়েছে প্রসূন চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবিতে। তাছাড়াও ২৬টি দেশে দেখানো হয়েছে এই সিনেমা। এই ধরণের কাজ যে বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের তিনি অভাবী সংসারে খুদেকে দিয়ে 'দোস্তজী'তে অভিনয় করান প্রসূন।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় কিংবা দু-মুঠো ভাত জোগাড় করতেই নাভিশ্বাস ওঠে যাদের সংসারে, সেখানে উচ্চশ্রেণীর পড়াশোনা তাদের পক্ষে বিলাসিতা! কারও বাবা পেশায় দিনমজুর, কেউ বা আবার মিস্ত্রির কাজ করেন। তিন পরিবারেই অভাব নিত্যসঙ্গী। সেখানে 'দোস্তজী'র পর যেভাবে প্রশংসিত হয়েছে আশিক, আরিফ এবং হাসনাহেনাদের অভিনয়, সেখানে ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে তাদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়, সেটা মাথায় রেখেই রঘুনাথগঞ্জের গাইডেন্স একাডেমির এমন অভিনব উদ্যোগ। সেখানকার আবাসিকে থেকেই দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত নিশ্চিন্তে বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারবেন এই খুদে অভিনেতারা।
পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায় এমন উদ্যোগে বেজায় খুশি। তিনি জানান, "স্কলারশিপের আশা করেছিলাম, কিন্তু পুরোপুরি বিনামূল্যে পড়াশোনার করার যে সুযোগ ওদের দেওয়া হল, সেটা আশাতীত। অসংখ্য ধন্যবাদ গাইডেন্স একাডেমিকে। ওদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।"