বলিউডের ছায়া এবার যেন টলিউডেও!! মদ্যপ অবস্থায় সলমনের মতো গাড়ি চালিয়ে এক নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিলেন ছোটপর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস। সকলের কাছে অবশ্য ভিক্টো নামেই পরিচিত। রবিবার ভোররাতের এই ঘটনা যেন ভাইজানের হিট অ্যান্ড রান কেসের বঙ্গীয় সংস্করণ। প্রশাসনিক সূত্রে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা জেনেছে, সোমবার দুপুরে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় পরিচালককে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখা হবে 'ভিডিও বৌমা'-র পরিচালক সিদ্ধান্ত দাসকে। তারপর ফের আদালতে পেশ করা হবে পরিচালককে। ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন সান বাংলার কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া। প্রসাশন সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
কিন্তু, এই ঘটনায় যাঁরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেন তাঁরা স্যান্ডি সাহা ও ঋ। বুধবার চ্যানেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল স্যান্ডি সাহাকে আর দেখা যাবে না এই ধারাবাহিকে। তাঁর চরিত্রটাই পুরোপুরি বাদ দেওয়া হল। ঋ-র চরিত্র বাদ দেওয়া হয়নি। তাঁর পরিবর্তে দেখা যাবে নতুন মুখ। তবে নতুন অভিনেত্রীর নাম এখনও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর ভিক্টো এবং শ্রিয়াকে যখন পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছিল তখন পুরোপুরি মত্ত অবস্থায় ছিলেন বেসরকারি চ্যানেলের সেই কার্যনির্বাহী প্রযোজক। হাঁটা তো দূরঅস্ত, সোজা হয়ে দাঁড়াতেও পারছিলেন না তিনি।
পুলিশের গাড়িতে উঠতে গিয়ে একাধিক বার পড়ে যান। সেই বেসামাল মুহূর্তের ভিডিয়ো দ্রুতগতিতে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনায় যিনি মূল অভিযুক্তর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষজন। এমতাবস্থায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে খবর পৌঁছেছে, স্যান্ডি সাহা ও ঋ সেন তাঁদের কাজ খুইয়েছেন। অন্যদিকে শ্রিয়ার চাকরি কতটা নিশ্চিত থাকছে সেই বিষয়ে আপাতত কিছু জানা যায়নি। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কার্যনির্বাহী প্রযোজকের ভূমিকায় পুনর্বহাল করবেন? সেই উত্তর এখনও অধরা।
ঘটনার পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে স্যান্ডি ও ঋ দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিল। স্যান্ডি কিন্তু, বারবারই বলেছিলেন দুর্ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নন। সেই সময় শুটিং ফ্লোরে ছিলেন। একইসঙ্গে স্বাকীর করেছেন দুর্ঘটনার আগের দিন আরিয়ানের বাড়ি যাওয়ার সময়ও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। একাধিকবার বারণ করা সত্ত্বেও ভিক্টো কোনও কথা কানেই তোলেননি। দক্ষিণ কলকাতার শপিং মলে প্রথম পর্বের পার্টি সেরে আরিয়ানের বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঋ কথা বলার মতো অবস্থাতেই ছিলেন না। একটাই কথা বলেছিলেন, 'আমার শরীর প্রচণ্ড খারাপ। ট্রমার মধ্যে রয়েছি। প্লিজ একটু একা থাকতে দিন।'