মায়ের বিদায়বেলায় মন যতই ভারাক্রান্ত হোক, সেদিন থেকেই পরের বছর আগমনীর অপেক্ষায় দিন গোনা শুরু হয়। আসছে বছর আবার হবে… মন্ত্রে ঘাটে বিসর্জনের আবহে মেতে ওঠে আট থেকে আশি। আমজনতার পাশাপাশি সেলেবরাও বাদ যান না, পাওলি দাম, নুসরত জাহানও রয়েছেন সেই তালিকায়।
দশমীর দুপুরেই সোজা পৌঁছে গেলেন বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের একটি অভিজাত আবাসনে। এখানেই প্রতি বছর অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে দশমীতে দেবীবরণ, সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন পাওলি (Paoli Dam)। গত ২ বছর পর অতিমারীর কোপে সেই পুজোয় কলেবরে ভাঁটা পড়লেও, এবার একেবারে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই দুর্গাপুজোর আমেজে গা ভাসিয়েছেন পাওলি দাম। ৫০ বছরের পুরনো এই অভিজাত আবাসনের পুজোয় পাওলিকে দেখাা গেল দশমীর দিন খোশমেজাজে। সিঁদুরখেলা, দেবীবরণের পর ঢাকের তালে জমিয়ে ধুনুচি নাচ করতেও দেখা গেল পাওলি দামকে।

বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের এই আবাসনের তরফে ফি বছর পাওলিকে অনুরোধ করা হয়, সন্ধিপুজো, ধুনুচি নাচে যেন অংশ নেন নায়িকা। ফিরিয়ে দিতে পারেন না তিনিও।
[আরও পড়ুন: সিঁদুরখেলা-দেবীবরণ, ভাসান ডান্সে জমজমাট ঋতুপর্ণার দশমী, দেখুন ভিডিও]
অন্যদিকে, দশমীতে একেবারে ভিন্নরকম সাজে দেখা গেল নুসরত জাহানকে (Nusrat Jahan)। লেহেঙ্গার সঙ্গে শাঁখা-পলা, সিঁথিতে সিঁদুর পরে বাওয়ালির রাজবাড়িতে নজর কাড়লেন নুসরত জাহান। কলকাতার বিভিন্ন মণ্ডপে যখন সিঁদুরখেলতে ব্যস্ত টলিউডের অন্যান্য নায়িকারা, তখন নুসরত ছবি শেয়ার করলেন বাওয়ালির রাজবাড়ি থেকে।
পাশাপাশি বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছাও জানালেন সকলকে। নুসরত লিখলেন, “ঢাকের আওয়াজ মিলিয়ে গেল, পুজো হলো শেষ, প্রাণে শুধু জাগিয়ে রেখো এই খুশির রেষ.. শুভ বিজয়া।”