তারকাদের পুজোঃ
পুজো মানেই কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া, দেদার গান-গল্প, আড্ডা আর অবশ্যই সিনেমা দেখা। সারাবছর শুটিং, সিরিজ, সিনেমার প্রচার কাজের ব্যস্ততা দূরে সরিয়ে পুজোর আমেজে মেতে ওঠেন তারকারা। এই পুজোয় সুখবর দিলেন রাজদীপ গুপ্তা। খুব শিগগিরিই ফিরতে চলেছেন ছোটপর্দায়। তাছাড়া পুজোটা কীভাবে কাটাবেন? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে খোঁজ নিলেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।
পুজো মানেই নিজের পাড়া, বন্ধু বান্ধব এবং প্রিয়জনেরা। রাজদীপের পুজো কিন্তু শহর কলকাতাই। অভিনেতা বললেন, যেহেতু বালিগঞ্জ এলাকায় থাকি, তাই সামনেই বালিগঞ্জ কালচারাল। সেখানেই একটু রাত করে যাই। কাছের মানুষদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ সঙ্গে একটু মজা আনন্দ। তবে শহরের এদিক থেকে ওদিক একেবারেই ঘোরা বেড়ানো হয় না অভিনেতার। বাড়িতে পার্টি করতেই ব্যস্ত থাকেন তিনি। এক একদিন এক একজনের বাড়িতে এই ধরনের পার্টি করেই সময় কাটে তাঁর। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার এর থেকে ভাল সুযোগ আর আছে?
আরও পড়ুন < এই পুজোতেও প্রেম এল না : ঋতব্রত >
কিন্তু ছোটবেলায় একেবারেই ভিন্ন পুজো কাটত রাজদীপের। মামার বাড়ির পুজোয় সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন তিনি। হাত লাগাতেন নানান কাজে। স্মৃতিতে জড়িয়ে আছে নানান কথা। বললেন, ছোট থেকে দেখেছি কত বড় বড় থালা, প্রদীপ সবকিছু নিয়ে লোকজন প্যান্ডেলে যাচ্ছে। সেই অনুভূতিটা এক্কেবারে ভিন্ন ছিল, যা আজও আমার মনে গেঁথে রয়েছে। সমস্ত ভাইবোনরা আসত। ওই পাঁচদিন মণ্ডপেই থাকতাম। পাঁচদিন পাঁচটা করে জামা হত। অনেক কিছু বদলেছে, তবে সেই দিনগুলো সত্যিই স্পেশ্যাল ছিল। অষ্টমী মানেই ছিল বিশেষ জামা, কেন জানি না তবে ওইদিন বেস্ট জামাটা পড়তেই হত।
কিন্তু বিশেষ করে পুজোর দিনে পোশাক হিসেবে কী পছন্দ রাজদীপের? ক্যাসুয়াল পড়তেই বেশি পছন্দ করেন। এথনিক হলেও জিন্স কুর্তা হোক কিংবা কমফোর্ট ওয়ার কিছু। আর ধুতির কথা বলতেই মোক্ষম কথা বললেন তিনি। নিজস্ব ধুতি নেই তাঁর তাহলে কী করেন? "মায়ের শাড়িগুলোকে ধুতির মত করে পড়ি, অনেক অনুষ্ঠানে গেছি", বললেন রাজদীপ। পুজোর পাঁচদিন ডায়েট ভুলে গিয়ে প্রচুর খাওয়াদাওয়া এবং ভোগ খাওয়া চাইই চাই। এদিক ওদিকের বাড়িতে ভোগ খেতেও পৌঁছে যান রাজদীপ।
আরও পড়ুন < ‘পুজোর উদ্বোধন, সপ্তমীতে ভিয়েতনাম-যাত্রা’, একগুচ্ছ প্ল্যান কনীনিকার >
কিন্তু পুজোর সময় পরিবারের সঙ্গে খুব একটা সময় কাটানো হয়ে ওঠে না তাঁর। বাবা ভীষণরকম পুজো কমিটির সঙ্গে ব্যস্ত। কিন্তু নিজের মত করে পুজো উপভোগ করাই তাঁর লক্ষ্য। সামনেই দুটি রিলিজ। হইচইয়ের নতুন সিরিজের শুটিং চলছে। আরেকটা প্রজেক্টও শেষ হয়েছে। টেলিভিশনেও ব্যাক করতে পারেন খুব শীঘ্রই। পুজোর পরেই সেরকম হলে শুটিং শুরু করতে পারেন। "আমার কাজই মানুষের মনোরঞ্জন করা, তাই টেলিভিশনে কাজ করি বা অন্য কোথাও সেটা মুডের ওপর নির্ভর করে"।