কলকাতার পুজো কার্নিভাল নিয়ে আগেভাগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, অনীক দত্তর মতো বামপন্থী তারকারা। অনীক যেখানে এই পুজো কার্নিভালকে মমতা সরকারের ক্ষমতার আস্ফালন বলে তোপ দেগেছেন, সেখানে কমলেশ্বরের মন্তব্য, এটা অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয়। এবার বামপন্থী তারকাদের সুরেই সুর মেলালেন বিজেপির তারকা সদস্য তথা সাংস্কৃতিক সেলের প্রধান রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)।
রুদ্রনীলের সাফ কথা, "পুজো কার্নিভাল আদতে বিভিন্ন দুর্নীতি ঢাকতে তৃণমূলের অন্যরকম প্রচেষ্টা। অদ্ভূত প্রচার চালিয়ে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এই পুজো কার্নিভাল সরকারি খরচে তৃণমূলের প্রচার করার মতোই বিষয়। আদ্যোপান্ত একটি রাজনৈতিক বিষয়।"
এখানেই অবশ্য থেমে থাকেনি বিজেপির তারকা নেতা, যিনি কিনা গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তার জন্য যদিও হাজারো কটুক্তিবাণের সম্মুখীন হতে হয়েছে রুদ্রনীলকে। তবে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া পরিযায়ী নেতারা ফের শিবির বদলালেও তিনি রয়ে গিয়েছেন বিজেপিতেই। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে চালচুরি থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে রাজনীতি নিয়েও মুখ খুলেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। এবার পুজো কার্নিভাল নিয়েও তৃণমূলকে তোপ দাগলেন।
আরও পড়ুন: ‘চকোলেট নিয়েছি, ঘুষ নয়’, মমতা-সাক্ষাতে ভয়ঙ্কর ট্রোলড হয়ে জ্বলে উঠলেন স্বস্তিকা
অভিনেতা এও উল্লেখ করলেন যে, "বাংলার ওপর প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে ২ লক্ষ কোটি বাম আমলে ঋণ করা হয়েছিল। তবে তৃণমূল অল্প দিনের মধ্যেই দেদার দুর্নীতি করে এই অঙ্কের পরিমাণ বাড়িয়েছে। যেখানে রাজ্য মাইনে দিতে পারছে না, চাকরি নেই, সেখানে কিনা ব্যায়বহুল কার্নিভালের হিড়িক পড়েছে। এটা বাংলাকে খাদে ঠেলে দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়।"
<আরও পড়ুন: ‘কাছের মানুষকে’ নিয়ে গ্রীসে দেব, পাল্লা দিলেন রুক্মিণীও! দেখুন অদেখা ছবি-ভিডিও>
অতিমারীর জেরে ২ বছর বন্ধ ছিল পুজো কার্নিভাল। তবে এবার রেড রোডে একেবারে স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন। দুর্গাপুজো কার্নিভাল নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও তাতে কান দেয়নি মমতা সরকার। বরং শনিবার বিকেলে