অতিমারীর জেরে অর্থনৈতিক কাঠামোর পাশাপাশি দেশের শিক্ষাঙ্গনও বেজায় প্রভাবিত। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন বাবা-মায়েরা। স্কুল-কলেজের দরজা খুলতে না খুলতেই ফের বন্ধ। বেজায় অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে কাটছে পড়ুয়াজীবন। করোনার (Covid-19) জেরে বারবার বাতিল হয়েছে বোর্ড পরীক্ষা। সন্তানদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে রীতিমতো কপালে ভাঁজ পড়েছে অভিভাবকদের। তবে অতিমারীর এমন প্রকোপে কিন্তু থেমে থাকেনি নির্বাচনী প্রচার, মিটিং-মিছিল। জয়ের পর উল্লাসে মেতেছেন রাজনৈতিক নেতা-ব্যক্তিত্বরা। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ব্রাত্য কেন? সেই প্রেক্ষিতেই এবার পড়ুয়াদের হয়ে সওয়াল করলেন ঋদ্ধি সেন, শ্রীলেখা মিত্ররা।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ঋদ্ধির মন্তব্য, "ভোটের প্রচার, বিজয় মিছিল, পার্ক স্ট্রিট, মন্ত্রীদের পুজোর সময়ে কম্পিটিশন, কার ক্লাব-কার পুজো কত টাকা পেল? কার প্যান্ডেল কত বড়? উৎসবের দিনগুলোতে তুলে নেওয়া হোক নাইট কার্ফু, সব চলুক। শুধু স্কুল-কলেজ বন্ধ করে, শিক্ষা ব্যবস্থার পথ বন্ধ করলেই করোনা সংক্রমণ কমবে…।" বলাই বাহুল্য অভিনেতা যে বিদ্রুপের সুরে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন।
<আরও পড়ুন: ডবল ভ্যাকসিন নিয়েও করোনায় আক্রান্ত সস্ত্রীক জন আব্রাহাম! কার ঘাড়ে দায় চাপালেন?>
পাশাপাশি অনেকেই শিক্ষাব্যবস্থার এমন অচলায়তন পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন। পড়ুয়ারা তো বটেই, ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত মা-বাবারাও। পুজো-পালি, উৎসবের মরসুমে জনতাদের ছাড় দিয়ে যে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ হু-হু করে বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই প্রেক্ষিতে গত দু'বছর ধরে শিক্ষাব্যবস্থার কোনওরকম উত্তরণ হয়নি। কেন? অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের পোস্টেও সেই সওয়াল উঠল?
শ্রীলেখার মন্তব্য, "স্কুল-কলেজ, পড়াশোনা চুলোয় যাক! উৎসব, মেলা, চলছ…চলুক। সাধারণ মানুষ মরছে। মরুক। মেরা দেশে মহান, আর খেলা হবে, হচ্ছেও.. ওরা খেলুক, আমি আপনি আস্ত গাধার মতো খেলা দেখি আর হাততালি দিই…।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন