Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

'লকডাউনে রাস্তার পশুদের জন্য কিছু খাবার রাখুন বাড়ির বাইরে'

Corona Lockdown: ওরা বেশিরভাগই রেস্তোরাঁ-ধাবা-খাবারের গাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে। করোনা লকডাউনের জন্য সে সবই বন্ধ থাকবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
during lockdown save street animals keep food outside home-says-joey debroy

জয়ী দেবরায়। ছবি: সোশাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত)

২৩ মার্চ বিকেল পাঁচটা থেকে ২৭ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত কলকাতা-সহ প্রায় গোটা রাজ্যেই চলবে লকডাউন। এই সময়ে সব নাগরিককেই বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। সমস্ত রেস্তোরাঁ ও বাণিজ্যিক দোকানপাট বন্ধ। যেহেতু রাস্তার কুকুর-বেড়ালেরা রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্ট খাবারের উপরেই মূলত বেঁচে থাকে, তাই এই কদিনে কোনও খাবার না পেয়ে তাদের অনেকেরই মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা অভিনেতা জয়ী দেবরায়ের।

Advertisment

অভিনেতা বরাবরই পশুপ্রেমী। তাঁর নিজস্ব পোষ্যও রয়েছে। পাশাপাশি তিনি রাস্তার কুকুর-বেড়ালদেরও সময় পেলেই খাওয়ান। অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে সাধারণ মানুষ, এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা নিয়মিত শুধু নিজের পাড়ায় নয়, অন্যত্র গিয়েও কুকুর-বেড়ালদের জন্য খাবার নিয়ে যান। লকডাউনের সময় পাড়ার মধ্যেও খুব একটা ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না নাগরিকরা। তাই জয়ীর আবেদন, প্রতিদিন যদি কিছু কিছু খাবার বাড়ির বাইরে রেখে দেওয়া যায়, তবে রাস্তার কুকুর-বেড়ালেরা না খেয়ে মরবে না।

আরও পড়ুন: বিরিয়ানি রান্না থেকে মাস্ক বিরতণ, করোনার জেরে নুসরতের দিনযাপন

জয়ী একটি বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁর পরিচিতদের। সেই বার্তার বয়ান হল এই রকম--

''অনুগ্রহ করে বাড়ির রান্নার সময় দুটো অতিরিক্ত রুটি বানান আপনার বাড়ির আশেপাশের কুকুর, বেড়াল, গরু অথবা অন্য যে কোনও পশুপাখির জন্য। ওরা বেশিরভাগই রেস্তোরাঁ-ধাবা-খাবারের গাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে। করোনা লকডাউনের জন্য সে সবই বন্ধ থাকবে। লকডাউন খুব বেশিদিন চললে ওরা না খেতে পেয়ে মারা যাবে। যদি নিজেরা বাড়ি থেকে বেরোতে না পারেন তবে আপনার সোসাইটি বা অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে দিন, তাঁরা রাস্তায় খাবারগুলি রেখে দেবেন পশুপাখিদের জন্য।''

during lockdown save street animals keep food outside home-says-joey debroy বাংলা ছবি ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা জয়ী দেবরায় করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচার করছেন বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই।

করোনা সংক্রমণের একদম প্রথম স্তর থেকেই অত্যন্ত সচেতন অভিনেতা। যতদিন শুটিং বন্ধ হয়নি, তিনি নিজ উদ্যোগে স্টুডিওপাড়ায় বহু মানুষকে স্যানিটাইজার-মাস্ক দিয়েছেন। ''এখন সবাই আতঙ্কিত হয়ে প্রচুর স্যানিটাইজার কিনে স্টক করছে। মানুষ এটা বুঝছে না যে শুধু নিজের হাত স্যানিটাইজড থাকলে হবে না, বাকিদেরও তাই হতে হবে, তবেই ভাইরাসটা ছড়াবে না'', ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানিয়েছিলেন জয়ী।

আরও পড়ুন: বেনজির! করোনায় কর্মীদের পাশে শেওড়াফুলির সিনেমাহল

হয়তো এখন মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, সেটা বুঝেছেন কিন্তু জয়ী যে বিষয়টির দিকে আলোকপাত করলেন, তা হয়তো অনেকেরই নজর এড়িয়ে যাবে। রাস্তার পশুরা আমাদের ইকোসিস্টেমেরই একটা অংশ। প্রচুর সংখ্যায় তাদের মৃত্যু হলে সেটা আরও বড় একটা বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই লকডাউনের সময় তাদের জন্য যৎসামান্য খাবার রাখাটাও নাগরিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।

corona Bengali Actor
Advertisment