একাধারে বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত তাঁর বাবা। অন্যদিকে, মা পিয়া সেনগুপ্ত ফিল্মি সংগঠনের জাঁদরেল ব্যক্তিত্ব এবং সুপরিচিত অভিনেত্রীও। বনি সেনগুপ্তও বেশ জনপ্রিয়। ফিল্মি পরিবারের সেই ছেলেকেই কিনা এবার রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় তলব করল ইডি। যার জেরে অভিনেতাকে মারাত্মক কটাক্ষ করলেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হয় অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর সঙ্গে। নেপথ্যের রহস্যভেদ করতেই বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে ডাক পড়ে বনি সেনগুপ্তর। খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় বিনোদুনিয়া থেকে নেটপাড়া। কেন, কোন কারণে কুন্তলের সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়? প্রশ্নের উত্তরে বনি বলেন, "সিনেমা ও মিউজিক ভিডিও বানানোর পারিশ্রমিক বাবদ ৩৫ বা ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। যা দিয়ে আমি গাড়ি কিনি ২০১৭ সালে।" অভিনেতাকে নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। এবার ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহল থেকেই খোঁটা শুনলেন বনি সেনগুপ্ত।
ঋদ্ধি বরাবরই সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সরব। এবার বনি সেনগুপ্তর কুন্তল যোগে ঋদ্ধি সেনের ক্ষুরধার মন্তব্য, "সিনেমা বানাতে পারেন না। তাঁদের ছবি দর্শকরা দেখতে চাইছেন না। বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ ইডি-র দরবারে।" এখানেই অবশ্য থামেননি অভিনেতা।
<আরও পড়ুন: রংবাহারি বিকিনিতে মনামি, অনিন্দ্যর ফোড়ণ- ‘গরম পড়ে গেল..’, নেটপাড়ায় চর্চা তুঙ্গে>
বনির উদ্দেশে ঋদ্ধি এও বলেন যে, "সাক্ষাৎকারে গম্ভীর। উদ্বিগ্ন মুখে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ। পাশে দাঁড়ানো। সিঙ্গেল স্ক্রিনকে ফিরিয়ে আনার গুরুদায়িত্ব নিয়ে বাণী দেবেন। দর্শক শুনছেন। তাদের অভিনয় কেন ভালো লাগে না সেই নিয়ে অভিমান করবেন। দর্শক শুনছেন। পরের পর একই গল্প নিয়ে ছবি করে যাচ্ছেন এবং মানতে চাইছেন না যে, ছবিগুলো তারা বানাতে পারছেন না। তাই নিয়ে সাক্ষাৎকারে চোখ রাঙাচ্ছেন। দর্শক শুনছেন। তারপর হঠাৎ একদিন বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ বর্তমানে ED’র দরবারে প্রবেশ পেলেন। এইবার দর্শক অবশেষে দেখছেন।"
উল্লেখ্য, বনি সেনগুপ্ত এদিন জানান, "কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আমার কোনও চুক্তি হয়নি। মুখের কথাতেই টাকার লেনদেন হয়েছে। এখন জানতে পারছি উনি যা করছেন, তা একেবারেই ঠিক নয়! তাহলে তো তখন মুখের কথায় টাকা নিতাম না। কুন্তুল ঘোষের সিটি সেন্টারের ফ্ল্যাটেও বেশ কয়েকবার যাই।"