/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/02/esha-2025-09-02-12-43-00.jpg)
কী বলেছিলেন এশা?
এশা দেওল, যিনি বর্তমানে দুই কন্যাকে একা হাতে বড় করে তুলছেন, একসময় শিল্পপতি ভরত তখতানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। দীর্ঘ ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর ২০২৪ সালে তারা বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন। ২০১১ সালে এশা ও ভরতের বিয়ে ছিল বলিউডের অন্যতম আলোচিত অনুষ্ঠান—কারণ হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র তাঁদের মেয়ের জন্য আয়োজন করেছিলেন এক জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে।
কিন্তু ভরতের যৌথ পরিবারে প্রবেশ করার পর এশা ভয়ঙ্কর কিছু ধাক্কার মুখোমুখি হন। তিনি অবাক হয়ে দেখেন, বাড়িতে শর্টস পরা নিষিদ্ধ। এই প্রসঙ্গেই তিনি তাঁর বই আম্মা মিয়া (২০২০)-তে লিখেছেন, “২০১২ সালে যখন আমাদের বিয়ে হয়, তখন জীবন আমূল বদলে যায়। ভরতের পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করার পর বুঝতে পারি, আমি আর আগের মতো হাফপ্যান্ট আর গেঞ্জি পরে ঘুরে বেড়াতে পারি না।”
যদিও পোশাকে পরিবর্তন আনতে হয়েছিল, এশা অনুভব করেন যে তখতানি পরিবার তাঁকে ভালোবাসা আর স্নেহের সঙ্গে আপন করে নিয়েছিল। জীবনে প্রথমবার তিনি দেখলেন, পরিবারের মহিলারা তাঁদের স্বামীদের জন্য লাঞ্চবক্স প্যাক করছেন। অথচ ভরতের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে তিনি কখনও রান্নাঘরে প্রবেশও করেননি।
ভারতীয় সিনেমায় শোকের ছায়া, চিরঘুমে কিংবদন্তি পরিচালক
তিনি পরিবারের মহিলাদের বর্ণনা করেছিলেন “রান্নাঘরের রানী” হিসেবে, যারা প্রতিদিন সুস্বাদু খাবার প্রস্তুত করে স্বামীদের জন্য টিফিন গুছিয়ে দিতেন। তবে তাঁর শাশুড়ির প্রশংসা করে এশা বলেন, “আমাকে তিনি কখনও রান্না করতে বা অন্য বৌমাদের মতো বাড়ির রীতিনীতি পালন করতে জোর করেননি। বরং আমাকে সবসময় নিজের মেয়ের মতো আদর করেছেন। যেন আমি তাঁর তৃতীয় সন্তান।” পরিবারের প্রথম বৌ হওয়ার সুবাদে তিনি বাড়তি ভালোবাসা পেতেন। চকোলেট ব্রাউনি থেকে শুরু করে ফল আর ক্রিম—সবকিছু তাঁর জন্য পাঠানো হতো।
২০২৪ সালে ভরত ও এশা আলাদা হয়ে যান। বর্তমানে তিনি সিঙ্গেল মাদার হলেও, নিজেকে সে ট্যাগে দেখতে নারাজ। মামারাজ্জি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এশা বলেন, “আমি নিজেকে সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ভাবতে পছন্দ করি না, কারণ আমি সে ভাবে জীবন যাপন-ই করি না। কখনও কখনও জীবনে সমীকরণ বদলায়, আর যদি দুই মানুষের মধ্যে সেই সমীকরণ আর কাজ না করে, তখন সন্তানের স্বার্থে দায়িত্ব নিতে হয়। আমি আর ভরত ঠিক সেটাই করি- ভিন্ন গতিশীলতায় থেকেও সন্তানদের জন্য আমরা একসঙ্গে দাঁড়াই।”
এদিকে, ভরত সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মেঘনা লক্ষানি তালরেজার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যার ক্যাপশনে লেখা ছিল- “আমার পরিবারে স্বাগতম” সঙ্গে একটি হৃদয়ের ইমোজি। স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন ছড়িয়েছে, তাঁদের মধ্যে নতুন সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়ার ইঙ্গিতই দিচ্ছেন ভরত।