Rachana Banerjee Didi No. 1: বাংলা ছবি ও বাংলা টেলিভিশন-দর্শকের তরুণতম প্রজন্মের কাছে রচনা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মানেই 'দিদি নাম্বার ওয়ান'। জি বাংলা-র এই জনপ্রিয় নন-ফিকশন শোয়ের সবচেয়ে সমাদৃত হোস্ট তিনি। ওদিকে বিগত কয়েক বছরে 'রামধনু' ছাড়া তেমন উল্লেখযোগ্য বাংলা ছবিতে তাঁকে দেখা যায়নি। বহু দর্শকেরই প্রশ্ন, কেন ছবি করছেন না রচনা? গত ১১ মে, শনিবার, 'ফেস' মডেল ম্য়ানেজমেন্ট সংস্থার সাম্প্রতিক উদ্য়োগ, 'ফেস আনোখি'-র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন অভিনেত্রী। অনুষ্ঠানের শেষে অভিনেত্রীর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে এল তাঁর কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু কথা।
আপনাকে সবাই টেলিভিশনের 'দিদি নাম্বার ওয়ান' বলে ডাকতেই ভালবাসে। আপনার কি মনে হয় এই বিশেষ ইমেজে বন্দি হয়ে গিয়েছেন?
রচনা: না আমি খুব হ্য়াপি। ইট ইজ মাই চয়েস যে আমি দিদি নাম্বার ওয়ান।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা ছবি সেভাবে এক্সপ্লোর করেনি-- আপনি কি এই ব্য়াপারে একমত?
রচনা: না, আমি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে যখন এসেছি, তখন অলরেডি আমি রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কারণ আমি বেশিরভাগ সময়েই সাউথে কাজ করেছি। বাংলায় খুব কম ছবিতে কাজ করেছি। আর যখন আমি কাজ করতে এসেছি তার কিছুদিনের মধ্য়েই আমার বিয়ে হয়ে গেল, বাচ্চা হয়ে গেল। তাই আমি বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে খুব একটা দোষ দিই না কারণ আমি এই ইন্ডাস্ট্রিকে সময়ই দিইনি।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রি এখন যদি আপনার থেকে সময় চায়?
রচনা: সত্য়ি কথা বলতে কী, এখন আমার সময় বলতে 'দিদি নাম্বার ওয়ান' আর বাকি সময়টা হচ্ছে আমার ছেলে। এই দুটোকে বাদ দিয়ে যদি আমাকে এখন ছবি করতে হয় তবে সেটা এতটাই ভাল ছবি হতে হবে যে আমাকে ওখান থেকে বার করে নিয়ে আসবে, আদারওয়াইজ আই অ্য়াম নট ইন্টারেস্টেড।
নতুন প্রজন্মের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকার যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা যদি...
রচনা: ভাল ছবি যদি হয়, যদি আমার মনে হয়... তখন আমি নিশ্চয়ই করব।
সেই পরিচালক যদি একেবারেই অখ্য়াত হন, তাহলেও?
রচনা: নিশ্চয়ই, এখন তো অনেকের মধ্য়েই সেই ট্য়ালেন্টটা আছে। ইনস্টিটিউট থেকে পাসড আউট যাঁরা আসছেন, বিশেষ করে। সব সময় যে স্ট্যাম্পড ডিরেক্টররাই ভাল ছবি করবেন, এমন কোনও কথা নেই। ইয়ং জেনারেশন খুবই প্রতিভাময়। যদি ভাল গল্প নিয়ে তারা আসে, নিশ্চয়ই ভেবে দেখা যেতে পারে। তবে আমার জন্য খুব ক্রাইসিস সিচুয়েশন হবে সেটা কারণ বাই চয়েস আমি ছবি করি না। আমি বলি যে আমি ছবি করব না। আমাকে সেটা থেকে ভেঙে বার করে নিয়ে আসতে পারে, তেমন ছবি হতে হবে।
মাদার্স ডে উপলক্ষে ছেলেকে নিয়ে কী পরিকল্পনা?
রচনা: ছেলেকে নিয়ে তো রোজই মাদার্স ডে হচ্ছে। এভরি ডে ইজ মাদার্স ডে ফর মি। সুযোগ পেলেই পিৎজা খেতে চলো, সুযোগ পেলেই পাস্তা বানিয়ে দাও, সুযোগ পেলেই মলে ব্যাট পেটাতে যাব... আমার জন্য মাদার্স ডে বলে আলাদা করে আর কিছু নেই। প্রত্যেক দিনই আমার মাদার্স ডে চলছে!
ছুটিতে বেড়াতে যাচ্ছেন কোথাও?
রচনা: বেড়াতে আমি যাই। ওটা আমার হবি, আমার রিক্রিয়েশন। আমি বছরে পাঁচ-ছ'বার বেড়াতে যাই।
সবচেয়ে স্মরণীয় ট্রিপ কোনটা ছিল?
রচনা: সবক'টা। বিশেষ করে আমার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে... নীল, পারমিতাদের সঙ্গে যে ক'টা ট্রিপ করি, সবক'টাই আমার খুব প্রিয়। কারণ আমি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বেড়াতে খুব ভালবাসি। ওটাই আমার এনার্জি বুস্টার। আর আমার ছেলের সঙ্গে তো আমি ভেকেশনে যাই-ই।
দশ বছরে আপনার লুকের খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। কোনও টিপ চল্লিশোর্ধ্ব মেয়েদের জন্য়?
রচনা: কিচ্ছু নয় গো, আমি খুব হ্য়াপি থাকতে ভালবাসি। আমি কখনওই আমার দুঃখ, আমার টেনশন আমার লাইফের ভিতরে আসতে দিই না। আই অলওয়েজ থিঙ্ক পজিটিভ, আই অলওয়েজ লিভ লাইফ পজিটিভ।