/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/28/vijay-2025-09-28-16-20-32.png)
কী বললেন শতাব্দী?
বিজয় সেতুপতি এবং তাঁর সভা উপলক্ষে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা অনেকেই জানেন। যে ভয়ঙ্কর পদপৃষ্ঠের ঘটনা ঘটেছে তাতে সমালোচনা চলছে প্রচুর। বিজয় অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে তিনি রাজনীতির মঞ্চেও বেশ জনপ্রিয় মুখ। তামিলনাড়ুর কারুরে শনিবার বিজয়ের নির্বাচনী সমাবেশে ভয়াবহ পদদলিতের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩৮ জন প্রাণ হারান, যার মধ্যে ১৬ জন নারী এবং ৮ জন শিশু রয়েছেন। আরও প্রায় ১৫০ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার কিছু পরেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। বিজয় একটি ভ্যানের উপর থেকে ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন সমর্থক তাঁকে ভালভাবে দেখতে গাছে উঠে পড়েন। হঠাৎ গাছের ডাল ভেঙে নিচে ভিড়ের ওপর পড়ে গেলে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই তৈরি হয় তীব্র বিশৃঙ্খলা এবং পদদলিতের ফলে বহু মানুষ চাপা পড়ে প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার পর বিজয় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এই ঘটনা নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অভিনেতা কিন্তু পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ এমন মানুষ অনেক আছেন। রাজ্য শাসকদলেও এমন মানুষ কম নেই। তাঁর মধ্যে দেব থেকে শতাব্দি রায় অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে, রাজনীতির আসনে বসে আছেন। এই ঘটনায় কী বলছেন লোকসভার সাংসদ এবং রাজনীতিবিদ শতাব্দি রায়? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন যেতেই তিনি বললেন..
Vivek Oberoi: 'আমার চোখের সামনেই ও চলে গেল', ভালবাসার মানুষের মৃত্যুতে অন্তর থেকে কেঁপে ওঠেন বিবেক
"আমি ঘটনাটা সম্পর্কে আজ-ই শুনেছি। আসলে মানুষের উণ্মাদনা এমন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে, দক্ষিনে তারকাদের খুব ক্রেজ। ভক্তদের উন্মাদনা কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে। এসব ঘটনা খুব দুঃখের। কিন্তু, কোনও তারকা কিন্তু চাইবে না তাঁর ভক্তরা, বা কোনও মানুষের সঙ্গে এমন হোক, কারওর মৃত্যু হোক এটা কেউ চায় না। এরকম যখন আমাদের অনুষ্ঠানে প্রচণ্ড ভিড় হত আমরাও ভাবতাম।"
তার নিজের জনসভায় বহুবার অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সমস্যা হয়েছে বলেই তিনি জানান। তাঁর কথায় আমরা অনেকসময় এমন চাপে পড়েছি। হয়তো দেখতে পারছি যে খুব ভিড়। আগে তো সভার জন্য প্যান্ডেল হত। নয়তো আমরা মানুষকে সেই জায়গা থেকে সরিয়ে দিতাম যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। নয়তো অনেকসময় প্যান্ডেল খুলে ফেলা হত। এখন তো ওপেন জায়গায় হয় তাও। আমাদের অনেক রকম চিন্তা হত একসময়। কারণ, তারকার সমাবেশ এবং রাজনৈতিক সমাবেশ এক না। সেক্ষেত্রে কিছু তো ভাবনা চিন্তা থাকেই।"
বেশ কিছু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারকারা নির্দিষ্ট সময়ের তুলনায় অনেক পরে আসেন। এক্ষেত্রে সভা-সমিতিতে আরও ভিড় হতে দেখা যায়। দেরি করে আসা কি যুক্তিযুক্ত? তার বক্তব্য, "একেবারেই না। ভীষণ অন্যায় এগুলো। অনেকে আছেন ইচ্ছে করে দেরি করে আসেন। এগুলো ক্ষমা করা যায় না। উচিত না এগুলো ক্ষমা করা। কোনও কারণ বশত এক আধদিন কেউ দেরি করল, মানা যায়। রোজ দেরি করাটা, তার মানুষ হিসেবেই সমস্যা আছে।"