এই মুহূর্তে মোট তিনটি ঘটনা নিয়ে সরগরম টালিগঞ্জ। একদিকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ইডি-র তলব। আর অন্যদিকে সার্ভিস চার্জের ইস্যুতে ফের সরগরম ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইম্পা)। জানা যাচ্ছে, টিকিটে সার্ভিস চার্জের বিষয়টি পরিষ্কার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটেও যেতে পারেন একজিবিটররা।
এক্ষেত্রে সিঙ্গলস্ক্রিন মালিকদের সমস্যাটা অনেকদিনের। পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গলস্ক্রিন মালিকরা ২ থেকে ৩টাকা সার্ভিস চার্জ পেয়ে থাকেন। তাদের দাবি, পাঁচ থেকে দশ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোন সাহায্য পায়নি তাঁরা। তবে ইম্পার কথায়, এবার সমস্যার সমাধান না হলে ১৯ তারিখ থেকে ধর্মঘটে যেতে পারে তারা।
আরও পড়ুন, একজিবিটর ও ডিস্ট্রিবিউটরদের মতানৈক্য, বন্ধের মুখে সিঙ্গল ও ডাবল স্ক্রিন
এদিকে, শহরে একের পর এক বন্ধ হয়ে গিয়েছে সিঙ্গলস্ক্রিন হল। ঝাঁপ পড়েছে বহু হলমালিকের ব্যবসার। কোথা থেকে কোথায় এসে দাঁডিয়েছে হলের সংখ্যা, তা এখন হাতে গুনে বলাও অসম্ভব হয়ে গিয়েছে (সংখ্যাটা প্রায় ২০০)। জিএসটি চালু হওয়ার পর সার্ভিস চার্জ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্যের বাইরে সব জায়গায় এখনও এই চার্জ চালু রয়েছে। এ বিষয়ে ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ''এই সমস্যা অনেকদিনের। কোনও সুরাহা মিলছে না। এবার সরকার কিছু না জানালে বাধ্য হয়ে অন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।''
ইম্পার সদস্য শান্তনু রায়চৌধুরী বললেন, ''শেষ সার্ভিস চার্জ বেড়েছিল ২০০১ সালের জুন মাসে। সেটা বেড়ে হয়েছিল ২টাকা, ২.৫০ টাকা ও ৩ টাকা। এবার চাইছি অন্তত সেটা ৫টাকা, ৭টাকা ও ১০ টাকার স্ল্যাবে বাড়ুক। হলের সংখ্যা কমে চলেছে। পরিকাঠামো বদলাতে অনেক খরচ।''
আরও পড়ুন, চিটফান্ডকাণ্ডে শুধু প্রসেনজিৎ নন, জড়িয়েছে এই তারকাদের নামও
এর আগেও ধর্মঘটের পথে এগিয়েছিল ইম্পা। কিন্তু সেটা শেষপর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। এরপরও বন্ধ হয়ে গিয়েছে রথীন্দ্র, ইলোরা, মিত্রার মতো হল। এবার পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার। জানা যাচ্ছে, এ প্রসঙ্গে ইম্পা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেছে। কিন্তু এরপরই 'বুম্বা দা'কে ইডির ডাক চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে হল মালিকদের কপালে।