New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/25/kIKSNv1Kqz1JuiEBb2oy.jpg)
Fahim Mirza In Chatterjee Barir Meyera: সমরেশ মজুমদারের হিরে বসানো সোনার ফুল কাহিনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছে 'চ্যাটার্জী বাড়ির মেয়েরা'। এই ধারাবাহিকে নয়া এন্ট্রি টেলিভিশনের অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেতা ফাহিম মির্জা। তাঁর চরিত্রের নাম অরুণ মুখোপাধ্যায়। এই ধারাবাহিক পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সুশান্ত দাস। প্রতিদিন সন্ধে সাতটা থেকে আকাশ আটে সম্প্রচারিত হয় এই ধারাবাহিক। বাস্তবের অভিনেতা ফাহিম সিরিয়ালেও একজন অভিনেতা। ধারাবাহিকের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দর্শকের কাছে তিনি খুব নরম মনের একজন হিরো। অভিনয় প্রশংসা পেলেও তিনি প্রচন্ড মুডি। কিন্তু, টলিউডে কান পাতলেই শোনা যায় তিনি সবসময় মদ্যপ অবস্থায় থাকেন।
অরুন মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রোজেক্ট শেষের কবিতা। লাবন্য চরিত্রের জন্য তিতিরকে পছন্দ হয় অরুনের। কিন্তু তিতির সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। অরুন মুখার্জীর বিপরীতে এক নবাগতা অভিনেত্রী সপাটে না বলে দেওয়াকে একদম মেনে নিতে পারে না সে। তিতিরের অজান্তেই সে অরুণ মুখার্জীর শত্রু হয়ে উঠবে? গল্প এগনোর সঙ্গে মিলবে সেই উত্তর। এই ধারাবাহিক প্রসঙ্গে ফাহিম মির্জা বলেন, 'আমি এই মুহূর্তে চ্যাটার্জি বাড়ির মেয়েরা সিরিয়ালে জয়েন করেছি। এখানে আমার চরিত্রের নাম অরুণ মুখোপাধ্যায়। সমরেশ মজুমদারের হিরে বসানো সোনার ফুল উপন্যাস অবলম্বনে এই গল্পটা তৈরি হয়েছে। তিনটি প্রজন্ম কে এই গল্পে দেখানো হচ্ছে। বাড়ির মেয়ে, শাশুড়ি আর বউমা।'
তিনি যোগ করেন, 'বাড়ির মেয়েটি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কাজকর্ম করে স্বাধীন হতে চায়। আর অরুণ মুখোপাধ্যায় একজন সুপারস্টার। প্রথমে সে চাকরি করত। সেখানে এক প্রযোজকের তাঁকে পছন্দ হয়। তখনই তাঁকে হিরো হওয়ার প্রস্তাব দেয়। অরুণ সেই প্রস্তাবে রাজি হয়। আর প্রথম কাজই সুপারহিট। এরপর যে কটা কাজ সে করে সব হিট। ধীরে ধীরে সে হয়ে ওঠে একজন সুপারস্টার। এবার ওই প্রযোজক অরুণের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে দেয়। মেয়েটি মানসিকভাবে অসুস্থ। সেই জন্য বৈবাহিক জীবনেও অরুণ খুশি নয়।'
ফাহিমের সংযোজন, 'তবে সেটা লোকচক্ষুর আড়ালেই রাখে। এর মাঝেই সে তাঁর স্বপ্নের প্রোজেক্ট শেষের কবিতা-র কাজ শুরু করে। রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা। সেখানে লাবণ্য়ের চরিত্রের খোঁজ শুরু করে সে। তিতিরের একটি অভিনয় দেখে অরুণের তাকে লাবণ্যের চরিত্রের জন্য পছন্দ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে অরুণ আর লাবণ্য কাছে আসতে থাকে। কিন্তু সেই সম্পর্কের পরিণতি সুখের হবে না। গুরু দত্তের যে গল্প.. সেই ছোঁয়া থাকবে এই গল্পে। এর আগে সাহিত্যের সেরা সময় করেছি আকাশ আটে। খুব ভাল অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেই কারণেই যখন আমায় এই চরিত্রটা অফার করা হয়, এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।'