/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/22/q3CUT3dU2jOL2tqfpyrw.jpg)
যা বললেন ফারহা...
Farha Khan: চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান সম্প্রতি গায়ক শান–এর বাড়িতে গিয়ে একসঙ্গে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করলেন। দুজনেই ফিরে গেলেন তাঁদের কর্মজীবনের শুরুর দিকে। তখন ফারাহ ছিলেন নতুন সহকারী পরিচালক এবং শান মাত্রই বিনোদন জগতে পা রাখছেন।
ফারাহ জানান, তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৯২ সালের জনপ্রিয় ছবি ‘জো জিতা ওহি সিকান্দর’–এর সেটে। তিনি তখন সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু শিগগিরই কোরিওগ্রাফিতে ঢুকে যেতে বলা হয় তাঁকে। রীতিমতো কোরিওগ্রাফারদের সাহায্য করতেন তিনি। এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ড নৃত্যশিল্পীরা না এলে, ফারাহ নিজেই সেই জায়গা পূরণ করতেন।
হেসে ফারাহ বলেন, “আমি তখন জুনিয়র ডান্সার ছিলাম! আসলে আমি সহকারী পরিচালক ছিলাম, পরে কোরিওগ্রাফার হয়েছিলাম। যে নৃত্যশিল্পীকে একটি দৃশ্যে দীপক তিজোরির সঙ্গে শট নিতে হতো, সে রাজি না হওয়ায় আমাকে পাঠানো হয়েছিল। সেই দৃশ্যে তিজোরি আমাকে গালে চুমু খায়!”
শানও যোগ করেন, "হ্যাঁ, আমি তখন সেটে ছিলাম একটা স্যাক্সোফোন হাতে! চার দিন শুটিং করেছিলাম, কিন্তু পর্দায় দেখা গেল মাত্র এক ঝলক।" তিনি আরও বলেন, "তখন আমাকে প্রতিদিন ১৫০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল, অন্যরা ৭৫ টাকা পেত।"
Rukmini Maitra: স্মৃতিতে ভেসে গেলেন রুক্মিণী, চিরঞ্জিতের সঙ্গে নতুন ছবিতে মনে পড়ছে নিজের বাবার কথা
একথা শুনে ফারাহর অবাক প্রতিক্রিয়া ছিল অবিশ্বাস্য। তিনি নাকি সেই কাজ থেকে এক টাকাও পাননি। তাঁর কথায়, "তুমি পেমেন্ট পেয়েছিলে? আমাকে তো এক পয়সাও দেয়নি! তবে সত্যি বলতে, ওই ছবিটাই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। টাকা নয়, অভিজ্ঞতাটাই ছিল অমূল্য।"
পুরনো দিনের সেই স্মৃতিতে হাস্যরস মিশিয়ে ফারাহ বলেন, "আমার মনে আছে, যতীনের একটা গান ছিল-‘দিওয়ানে হাম প্যায়ার কে’। প্রযোজকেরা তখন এতটাই টানাটানিতে ছিলেন যে যতীনকেও গানে নাচিয়ে ফেলেছিলেন!" এরপর দুজনে মজা করে সেই গানের তালে তালে নাচতেও শুরু করেন, যেন মুহূর্তেই ফিরে গেলেন তাঁদের তরুণ বয়সের সেই নির্ভেজাল, উচ্ছল দিনগুলোয়।