'গুমনামী'- র টিজার প্রকাশ্যে আসার পরই আইনি নোটিস পেলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এদিন ছবির প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসার পর অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের এই লুক ভাইরাল হয়ে যায়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে গবেষণার উপরেই তৈরি এই ছবি। তবে সৃজিতের বিরুদ্ধে নেতাজির 'ভুল ব্যাখ্যা' করার অভিযোগ উঠেছে।
দেবব্রত রায় নামে বেলগাছিয়ার এক বাসিন্দা, তিনি নেতাজি গবেষকও বটে, তাঁর তরফ থেকেই আইনি নোটিস যায়। তবে সৃজিতের কথায়, "আমিও শুনেছি আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো হাতে পাইনি। তাছাড়া দেখুন নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের এখনও সমাধান সূত্র মেলেনি। মুখার্জি কমিশন থেকে ছোট-বড় নানা তথ্য বারবার উঠে এসেছে।এলাহাবাদের হাইকোর্টের অর্ডার, এইসব নথিপত্র ঘেঁটে চিত্রনাট্য তৈরি। রিসার্চ করে বানানো হচ্ছে। এবার যদি কেউ মামলা করেন, করবেন। চিঠি হাতে আসুক, তারপর আমার আইনজীবী সেইমতো উত্তর দেবেন।"
আরও পড়ুন, দক্ষিণী ছবিতে বাংলার অভিনেতা! নায়কের ভূমিকায় রণজয়
সৃজিত আরও বলেন, "নেতাজির ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল কিনা? রাশিয়ায় তাঁর মৃত্যুর কথা শোনা যায়, এবং গুমনামী বাবাই নেতাজি কিনা, এই তিনটে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। গুমনামী বাবাই নেতাজি, একথা কোথাও বলা হয়নি।"
প্রসঙ্গত, ‘গুমনামী-’র লুকের জন্য বেশ ঝুঁকি নিতে হয়েছে প্রসেনজিতকে। ওজন বাড়ানো থেকে প্রস্থেটিক মেকআপ, প্রায় ঘন্টা তিনেকের পরিশ্রমের পর এই চেহারা তৈরি হয়েছে। আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু।