আবির-তনুশ্রী দুজনেই মজা করছেন ছবির প্রমোশনের ফাঁকে ফাঁকে। আর আবির চট্টোপাধ্যায় মানেই আপনার লেগপুলিং হবেই। তাঁদের সঙ্গে আড্ডায় জুটে গেলাম আমরাও। শুধু রেকর্ডার অন রইল-
‘ফ্ল্যাট নম্বর ৬০৯’ শুনলে প্রথমেই কী ভেসে আসছে আপনাদের মনে? আবিরের সটান উত্তর, ৩১ অগাস্ট। আসলে সেইদিনই মুক্তি পাচ্ছে আবির চট্টোপাধ্যায় ও তনুশ্রী চক্রবর্তী অভিনীত ছবি ‘ফ্ল্যাট নম্বর ৬০৯’। আবির উত্তর দেওয়া মাত্র তনুশ্রী নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না হেসে ফেললেন। তবে নায়িকা মনে কিন্তু হানা দেন শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা। ”শুধু শুটিং নয় প্রিভিউয়ের একটা লম্বা গল্প আছে”…তনুশ্রীর মুখের কথা প্রায় ছিনিয়ে নিয়ে বলতে শুরু করলেন আবির- “একটা ছোট্ট জায়গায় ছবির প্রিভিউ হচ্ছে, সবাইয়েরই স্ক্রিপ্টটা প্রায় পড়া, অভিনয় যারা করেছে তারা শুটিংটা পুরোটা জানেনা। কিন্তু কেউ চেয়ার থেকে পড়ে যাচ্ছে,কেউ গিয়ে সোফায় মুখ লোকাচ্ছে। আর মমদি (মমতাশঙ্কর) মুখে আওয়াজ করে চলেছে। পূজারিনী যে ছবিটায় নিজে রয়েছে স্ক্রিনে না তাকিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, চুল দিয়ে মুখ ঢাকছে। আরও এক বন্ধু সামনের সিটে বসে মুখ ঘুরিয়ে বলছে এটার মানে কি? আসলে তাহলে তো অনেকটা সময় মুখ ঘুরিয়ে থাকছে, দেখতে হচ্ছেনা। তনুশ্রী তো একটা সময় আমাকেই বলে বসল, তুই কি ভয় পাস না। আর আমি তো ভাবছি এরাই যদি ভয় পায় তো ভাল দর্শকদের রিঅ্যাকশনও ভাল হবে”।

কতটা ভয় লাগবে? -আবির- ভয় মানে এটা নয় যে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখানো হবে। ছবিটা সাইকোলজিকাল থ্রিলার। আপনি নাকি ফ্লোরে সবার লেগপুল করেছেন, বিশেষ করে পূজারিনীর!- এরা ঠিক করেছে একে অপরের উত্তর দেবে। তনুশ্রী বলে উঠল- ”ও লেগপুল করার মতো কাজ করেছে। ভয় পেয়েছে সেটা লুকোচ্ছিল আর সেটা করতে গিয়েই পড়েও গিয়েছে চেয়ার থেকে”। আবির- ”আরে! আমি তো ভেবেছিলাম মাথা ধরেছিল (অ্যাক্টিংও করে দেখাল প্রায়)। আমি শুটিংয়ে কারও লেগপুল করিনি সারা শুটিং জুড়ে তনুশ্রী অভিযোগ করেছে আমি নাকি কম খাটছি আর ও বেশি,ভাবুন। বলেছে-ও তো শুটিংয়েই আসেনা, লেট করে। আমি কোনওদিন দেরি করিনি”। এটা বলা মাত্র তনুশ্রী বলে উঠল- ”একটু আগে কে দেরি করে এসেছে? সবাই সাক্ষী আছে”। এই খুনসুটিটা চলতেই থাকল।

পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা? আবির- ”এখানেও গল্প আছে। এর আগে ফিল্মফেয়ার পেয়েছে অরিন্দম ভট্টাচার্য। তখনই স্টেজ থেকে বলেছিলাম পরের ছবিতে নিতে হবে এই কথা না দিলে স্টেজ থেকে নামতে দেবনা। মজাটা সত্যি হয়ে গেল। ওঁর মধ্যে অদ্ভুদ কিছু চরিত্র চিত্রন করে যাদের একবার দেখলে বিশ্বাসও করা যায়না আবার পুরোপুরি অবিশ্বাসও করতে পারবি না। ওঁর এই ফ্রেশনেসটা আমার ভাল লেগেছিল”। আর তনুশ্রী? -”আমার ছবির স্ক্রিপ্টটা ভাল লেগে গিয়েছিল। মম দির কাছ থেকে নম্বর নিয়ে উনি আমায় ফোন করেন তারপর সায়ন্তনীর চরিত্রটায় কাজ করতে রাজি হই”।
ছবিতে এই প্রথমবার একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলেন আবির-তনুশ্রী। আবিরের মতে নাকি, ”ভৌতিক হস্তক্ষেপ দরকার ছিল। আর বিশ্বাস করুন আমায় দিয়ে এই ছবিতে তো সমস্যার সমাধান হবেনা”। ৩১ তারিখ শুধু কলকাতায় নয় এই প্রথমবার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মুক্তি পাচ্ছে এই ‘ফ্ল্যাট নম্বর ৬০৯’।
আরও পড়ুন, আমরা ‘আবর্জনা’র জমানায় বাস করছি: কিউ
কিন্তু এখানেই আড্ডা শেষ হলনা, চুলোচুলি চলতেই থাকল কে কাকে ভাল বলে এই নিয়ে। আমরা রেকর্ডার বন্ধ করলাম।