গত শুক্রবারই অসংখ্য অনুরাগীদের কাঁদিয়ে চিরতরে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন পুনিত রাজকুমার (Puneeth Rajkumar)। জনদরদী অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পরই দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বজ্রপাত। তবে মৃত্যুর পরও চার জনের মধ্যে বেঁচে রইলেন অভিনেতা। আসলে পুনিতের দান করা চোখ দিয়েই দৃষ্টি ফিরল তাঁদের।
ইচ্ছে ছিল মরণোত্তর দেহ দানের। তবে সেই অমোঘ কাল যে এত তাড়াতাড়ি ঘনিয়ে আসবে তা বোধহয় কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। কিন্তু পুনিতের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যায়নি তাঁর পরিবার। অভিনেতার শেষ ইচ্ছে পূর্ণ হয়েছে। ২৯ অক্টোবর কন্নড় স্টারের মৃত্যুর পর তাঁর দুটো চোখ দান করেছে তাঁর পরিবার।
মৃত্যুর পরই পুনিত রাজকুমারের ভাই রাঘবেন্দ্র নারায়ণ ডঃ রাজকুমার আই ব্যাঙ্কে খবর পাঠিয়ে তড়িঘড়ি অভিনেতার চোখ সংগ্রহ করতে বলা হয়। গত ২ দিনে সেই চোখ কাজে লাগিয়ে তিন জন পুরুষ ও একজন মহিলার দৃষ্টি ফেরানো হয়েছে।
<আরও পড়ুন: শাহরুখের কঠিন সময়ে দুবাইয়ে অনন্য সম্মান, বুর্জ খলিফার গায়ে ভেসে উঠলেন কিং খান>
কিন্তু একজনের চোখ দিয়ে কীভাবে ৪জনের দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব হল? জানা গিয়েছে, একেকটি চোখ দিয়ে ২ জন রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। ৫ জন ডাক্তারের টিম কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের কাজ করেছেন। চার রোগীরই বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। কোভিড কালে চক্ষু প্রতিস্থাপন বন্ধ থাকায় তাঁরা প্রত্যেকেই মাস খানেক ধরে ভুগছিলেন। তবে অভিনেতা পুনিত রাজকুমারের একেকটি চোখের কর্নিয়া দুভাগে ভাগ করে প্রত্যেকের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রথম কর্ণাটকে আধুনিক টেকনিক প্রয়োগ করে ১ জনের চোখ দিয়ে ৪ জনের দৃষ্টিশক্তি ফেরানো সম্ভব হয়েছে।
মাত্র ৪৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তড়িঘড়ি পুনিতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল ১১টা নাগাদ আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর বেলার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পুনিত রাজকুমার। উল্লেখ্য, পুনিতের আগে তাঁর বাবা ডঃ রাজকুমার এবং তাঁর মা পার্বাতাম্মাও মরণোত্তর চক্ষু দান করেছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন