"সলমন খানকে যোধপুরেই মেরে ফেলব। বুঝে যাবে আমাদের দম কত..", হুমকি দিয়েছিল কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে বলিউড সুপারস্টারকে প্রাণে মারার জন্য সম্পত নেহেরা নামে ওই গ্যাংয়েরই এক ব্যক্তিকে নিয়োগ করে সে। যদিও সেই ব্যক্তি পরে বেঙ্গালুরু থেকে ধরা পড়ে গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশের কাছে সবটা জানায়। এবার প্রশ্ন, চার বছর পর কেন সলমনকে খুনের হুমকি দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠল?
রবিবারই পঞ্জাবে গুলি করে খুন করা হয়েছে সিধু মুসেওয়ালাকে। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পুলিশের অনুমান, এই খুনের নেপথ্যে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাত থাকতে পারে, যারা কিনা সলমন খানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। যদিও লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি। তাই মুসেওয়ালা-খুনের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা চেষ্টা করছে পুলিশ।
পঞ্জাব ফিরোজপুরের অবহারের কাছে ধাত্তারানওয়ালি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত কৃষক পরিবারের ছেলে বিষ্ণোই, বয়স ৩১। মুসেওয়ালা খুন-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার নিজেই জানিয়েছিল যে, বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে বসেই সিধু মুসেওয়ালাকে খুনের ছক কষেছিল সে।
<আরও পড়ুন: হাঁটুজলে মরতে বসেছিল ‘উমা’! ভিডিও নিয়ে চরম খিল্লি নেটদুনিয়ায়, দেখুন>
এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। খুন, রাহাজানি, তোলাবাজি সেই তালিকায় কী নেই! পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুই গ্যাংস্টার দলের রেষারেষির কারণেই মুসেওয়ালার মৃত্যু হয়েছে। এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত। যাঁরা কৃষ্ণসার হরিণকে পুজো করে। তিন দশক আগে যোধপুরে শুট করতে গিয়ে এক কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন সলমন খান। যে মামলা এখনও চলছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই সলমন খানকে মারারা ছক কষেছিল কুখ্যাত গুণ্ডা লরেন্স বিষ্ণোই।
মুম্বই পুলিশের তরফে সেই সময়ে সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, দিল্লি পুলিশের তরফে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে জানানো হয়েছে যে, জেলে বন্দি থাকলেও বিষ্ণোই তার দলের লোকজনদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রাখে। তার সহকারী মহম্মদ শাহরুখকে লাগিয়েছিল মুসেওয়ালাকে খুনের জন্য। যদিও সেই প্ল্যান ভেস্তে যায় কারণ এপ্রিল মাসেই শাহরুখ গ্রেপ্তার হয়। এবার সেই প্রেক্ষিতেই পাঞ্জাবী গায়ক-রাজনীতিক মুসেওয়ালা খুন-কাণ্ডে বিষ্ণোইকে তিহার জেলে জেরা করা হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন