Gayatri Hazarika Death: ভারতীয় সংগীতজগতে নক্ষত্রপতন। শুক্রের দুপুরে জীবনাবসান অহমিয়া সংগীতশিল্পী গায়েত্রী হাজারিকা। গুয়াহাটির নেমকেয়ার হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে ১৬ মে চিরঘুমে গায়েত্রী হাজারিকা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৪ বছর। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া সংগীতজগতে। গায়েত্রীর মৃত্যুতে থেমে গেল একটা সুরেলা সফর।
অসমের সাংস্কৃতিক ও সংগীতজগতের একজন স্বনামধন্য শিল্পী ছিলেন গায়েত্রী হাজারিকা। যাঁর কণ্ঠের জাদু বারবার মুগ্ধ করত শ্রোতাদের। গানের মধ্যে আবেগের ছোঁয়া আর অহমিয়া সুরের মিশ্রনে গায়েত্রী হাজারিকা সংগীতের দুনিয়ায় নিজের একটা পরিচিতি তৈরি করেছিলেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে রাজ্য ও রাজ্য বহির্ভূত শিল্পীমহল গভীরভাবে শোকার্ত। দুঃখপ্রকাশ করেছেন গায়েত্রীর অনুরাগীরা।
আরও পড়ুন মেহেন্দির অনুষ্ঠানেই সব শেষ! হৃদরোগ কেড়ে নিল ৩৩ বছরের জনপ্রিয় অভিনেতার প্রাণ
'জোরা পাতে পাতে ফাগুন নামে'-এই গানের মাধ্যমে প্রথমবার শ্রোতাদের কাছে পৌঁছান গায়েত্রী। জনপ্রিয়তার নিরিখে গায়েত্রীর গাওয়া এই গান রাতারাতি অহমিয়া সংগীতের 'অ্যাসেট' হয়ে যায়। স্থানীয় সংগীতের অন্যতম আকর্য়,ণীয় কণ্ঠস্বর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যান গায়েত্রী হাজারিকা। একাধিক প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়ে নিজের বহুমুখীপ্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন সংগীতশিল্পী গায়েত্রী হাজারিকা। আবেগমিশ্রিত কণ্ঠস্বরই ছিল তাঁর গানের বৈশিষ্ট্য যা শ্রোতাদের আকৃষ্ট করত।
প্লেব্যাক সংগীতশিল্পী হিসেবে যেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তেমনই গায়েত্রী হাজারিকা অনেক লাইভ শো-ও করেছেন। যেখানে তাঁর পাওয়ারফুল পারফরম্যান্স বারবার দর্শকের দিল জিতে নিয়েছিল। Rati Rati Mor Xoon, Ohar Dore Ubhoti Aatori Gola-এর মতো হিট গান রয়েছে গায়েত্রীর ঝুলিতে। অসমেই জন্ম গায়েত্রীর। অসমের ট্রাডিশনাল গানের জন্যই বিখ্যাত ছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে নজরকাড়া ফ্যানবেস।
আরও পড়ুন 'পাঁচদিন আগেও কথা হল', টলিপাড়ার 'দাদু'-র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কৌশিক! মন খারাপ শ্রুতি-রাহুলের
ফেসবুকে তাঁর অনুসরণকারী আনুমানিক দু'হাজার। গায়েত্রীর গান রয়েছে Wynk Music, Gaana-এর মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। এক্স হ্যান্ডেলে শিল্পীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এক ভক্ত লিখেছেন, 'বিরল প্রতিভা'। অপর এক ব্যক্তি লেখেন, 'জনগনের কণ্ঠস্বর'।