এক ছাদের তলায় হিন্দু-মুসলমানের একসঙ্গে বাস। উদার মানসিকতার এই কলকাতা শহরেও তা বহু জায়গায় দুস্কর। কিন্তু শিবপ্রসাদ-নন্দিতা মুক্তিদেবী ও তারেক আলির গল্প তৈরি করেছিলেন। যেখানে রাধামাধবের ভক্ত মুক্তিদেবীর কেয়ারটেকার তারেক আলি, যে কিনা নিয়ম মেনে নমাজ পড়ে। অসুস্থ হয়ে পড়লে ইষ্টদেবতার মুখে অন্ন তুলে দেয় তারেকই।এবার খোদ কলকাতা শহরেই খোঁজ মিলল এরকম জুটির।
তারেক মুক্তিদেবীকে মা বললেন, এখানে স্মৃতিলতা দেবী ও শামিমের সম্পর্কটা ঠাকুমা-নাতির। স্মৃতিলতা দত্ত, খাঁটি সুবর্ণ বণিক, অন্যদিকে শামিম মুসলমান। স্মৃতিলতাকে ঠাকুমা বলেই সম্মোধন করে শামিম। সংবাদপত্র পড়ে একথা জানতে পারার পরই তাদের সঙ্গে দেখা করেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। তাদের জন্য গোত্র-র স্ক্রিনিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।
সিনেমা দেখার সময় মিলে গেল রিল ও রিয়েল।
আরও পড়ুন, মিমি তৈরি, নয়া প্রযোজকের হাতেই ‘খেলা যখন’
কিন্তু রিল লাইফের থেক বাস্তবের কাহিনিটা একটু আলাদা। ঘটনার সূত্রপাত্র সাত বছর আগে। শামিম মুসলমান, তাই বাড়ির মালিক তাড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর রাস্তায় এসে দাঁড়ায় শামিম। আর এই সময়েই তার পরিচয় হয় স্মৃতিলতা দেবীর সঙ্গে। ওনার বাড়িতেই থাকা শুরু করে শামিম। তবে পাড়ার লোকেরা কম বিরক্ত করেনি তাদের। মুসলমানকে বাড়ি ভাড়া দেওয়ায় অনেক হুমকি শুনতে হয়েছে তাঁদের।
তবে কোনও কিছুতেই বিশেষ কর্ণপাত করেননি স্মৃতিলতা দত্ত। আর শামিমের কাছেও তাঁর ঠাকুমা অনেকটা। একসঙ্গে বাস ভিনধর্মের দুটি মানুষের, যেখানে হিন্দু-মুসলমান নন মানবতাই ধর্ম। এদিন তাদের সঙ্গে গোত্র দেখেন অনসূয়া মজুমদার ও নাইজেল আকারা। লহমায় বাস্তব হয় চিত্রনাট্য।