Goutam Ghose And Ishaan Win Best Cinematography: জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষ আরও একবার বাংলা সিনেমাকে সমৃদ্ধ করলেন। এবারে তাঁর সফরসঙ্গী ছেলে ঈশান ঘোষ। পরিক্রমা ছবিটিতে সেরা সিনেমাটোগ্রাফির জন্য বাবা-ছেলে যৌথভাবে প্রথমবার 1st Asian Art Film Award ঘরে আনলেন। গত ২৩ এপ্রিল ম্যাকাউতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই বিশেষ অনুষ্ঠান। সেখানেই আন্তর্জাতিক স্তরে প্রথমবার ইতিহাস সৃষ্টি করলেন গৌতম ঘোষ ও ঈশান ঘোষ। এই পুরস্কার গ্রহণের পর টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে ঈশান বলেন, 'সিরিয়াস ছবি তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল প্রকৃত আবেগকে সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তোলা। একটা ভাল সিনেমাটোগ্রাফির মূল বৈশিষ্ট্য হল দর্শক যখন সিনেমাটি দেখবেন তখন প্রতিটি চরিত্রের গভীরে পৌঁছতে পারবেন। অনেকগুলো ভাল ছবির মধ্যে আমাদের ছবিটি পুরস্কৃত হয়েছে। আমি নিশ্চিত জুরিরা এই ছবির মধ্যে নিশ্চয়ই ভাল কিছু দেখেছেন বলেই পুরস্কৃত করেছেন।'
ঈশানের সংযোজন, 'যখন আমি ওঁর সঙ্গে কাজ করি সিনেমার গল্প আর দৃষ্টিভঙ্গিটা সবার আগে খেয়াল রাখি। যতটা সম্ভব সহজভাবে কাজটা করাই মূল লক্ষ্য। অপ্রয়োজনীয় জিনিস বুদ্ধিদীপ্ততার সঙ্গে ছবি থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়।' গৌতম ঘোষ এই স্বীকৃতি পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারের জুরি সদস্য হিসেবে তার অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন। সেই সময় সুব্রত মিত্র জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, 'আমার সহ-জুরি সদস্য জয়া বচ্চন পরামর্শ দিয়েছিলেন যে সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব যেন আমার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ আমি একজন ক্যামেরাম্যান। 'নিউ দিল্লি টাইমস'-এর সিনেমাটোগ্রাফির জন্য সুব্রত মিত্রের নাম উত্থাপন করেছিলাম। কিন্তু, আমার সহ জুরি সদস্য বলেছিলেন এই ছবিটা ভীষণ ডার্ক। তখন আমি একটাই কথা বলেছিলাম, এই অন্ধকারটাও কিন্তু আলো দিয়েই তৈরি। পরিক্রমা-র শুটিংয়ের সময় চিত্রাঙ্গদা সিংয়ের ইন্টিরিওর বা ভোরবেলা-রাতের খুব শটগুলোতে সেই প্রক্রিয়া ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলাম।'
আরও পড়ুন: 'আমি একটা Useless পার্সন', বিলাসবহুল জীবনযাপনের পরও টাকার জন্য চরম অবসাদ আমির কন্যা ইরার!
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতির আগে ইতালিতে সিনেমা প্রথমাংশের শুট হয়ে গিয়েছিল। তারপর ভারতে শুটিংয়ের সময় ঈশান যোগ দেন। সিনেমাটোগ্রাফিতে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারতীয় এবং মহাদেশীয় অংশগুলির জন্য ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল। Colourist দেবজ্যেতি ঘোষ বিষয়টি বুঝেছিলেন। সেই অনুযায়ীই তিনি কালার কম্বিনেশন ঠিক করেছিলেন। আর্টিস্টেদের কস্টিউমের রংও ভাবনা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়েছিল। ক্যামেরার কথা বলতে গিয়ে বলেন, ঈশান gimbal ক্যামেরা ব্যবহার করেন। চিত্রাঙ্গদার মতো একজন বিশিষ্ট অভিনেত্রীর সঙ্গে অসংখ্য তীর্থযাত্রীর ছবি তোলেন, যেখানে কেউ ক্যামেরার দিকে মুখ করে ছিলেন না। ভারত আর ইতালিতে শুটের জন্য আমরা ভীষণ ভাহনাচিন্তা করে ক্যামেরার লেন্স বাছাই করেছিলাম।
আরও পড়ুন: শো বাতিল করা-ছবি মুক্তির দিন পিছনোর নেপথ্যে পুরোপুরি অর্থনীতি জড়িত: কৌশিক সেন