দু'বছরের ঘটনা, এতদিনের সমস্যা, প্রতিনিয়ত চিঠি, প্রায় তিনদিনের মধ্যে সমাধান মিলে গেল তার। নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট মিলল সরকারের তরফে। আর সঙ্গে সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিল সিঙ্গলস্ক্রিন মালিকরা। আসলে বিবাদটা অনেকদিনের। মাল্টিপ্লেক্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছিল না সিঙ্গলহল মালিকরা। তারওপরে সার্ভিস চার্জ দিতে মানা করছিল হিন্দি ও ইংরাজী ছবির ডিস্ট্রিবিউটররা। দর্শকের টিকিটের দামও বাড়ানো যাবে না। তাহলে চলবে কি করে?
বারবার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েও সুরাহা হচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত পথে নামার হুমকি দিয়েছিল ইম্পা। রাজ্যের সিঙ্গলস্ক্রিনে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় যথাক্রমে দুটাকা, আড়াই টাকা ও তিনটাকায়। হলমালিকদের দাবি ছিল, সেই চার্জ বাড়িয়ে পাঁচটাকা, সাতটাকা ও দশটাকা করতে হবে। আর এই জন্য সরকারের তরফ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বাইরে ২৫ টাকা পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন, অনির্দিষ্টকাল বন্ধের হুঁশিয়ারি সিঙ্গলস্ক্রিন মালিকদের
১১ জুলাই একটি সার্কুলার জারি করে এসি সিনেমাহলে পাঁচটাকা, ব্লেয়ার হলে চারটাকা ও পাখা সমন্বিত হলে তিনটাকা পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। এদিন ইম্পা সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। এরসঙ্গে এও বলেন, সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর চাপ দর্শকদের উপর পরবে না। টিকিটের দামে কোনও রকম হেরফের হচ্ছে না।
সার্কুলারের ফোটোকপি।
আরও পড়ুন, ধর্মঘট হতে পারে সিঙ্গলস্ক্রিনে, সার্ভিস চার্জ ইস্যুতে পথে নামার হুঁশিয়ারি ইমপা-র
এর আগেও ধর্মঘটের পথে এগিয়েছিল ইম্পা। কিন্তু সেটা শেষপর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রথীন্দ্র, ইলোরা, মিত্রার মতো হল। এবার পরিস্থিতিটা বদলে গেল। সুরাহা মিলল সমস্যার। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন হলমালিকরা।