গোবিন্দা ও সুনিতা আহুজার প্রেমের কাহিনি যেন একেবারে সিনেমার মতো। গোবিন্দা তখন স্কুলে পড়তেন এবং সুনিতা স্কুলে। তখনই শুরু তাঁদের ভালোবাসার গল্প। তবে এই সম্পর্ক সহজ ছিল না। সুনিতার পরিবার, শুরুতে এই প্রেম মেনে নিতে পারেনি, কারণ এটি তার পড়াশোনা ও জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলতে শুরু করেছিল।
হাসতে হাসতে সুনিতা জানান, একবার বড় বোন তাঁকে পড়াতে চেয়েছিলেন, আর তিনি রেগে গিয়ে ছুরি দিয়ে বোনের উরু কেটে দেন! যদিও পড়াশোনায় মন ছিল না, তবে অঙ্ক তাঁর পছন্দের বিষয় ছিল। তিনি বলেন, "কারণ টাকা আমি ভালোবাসতাম।"
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুনিতা ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর শৈশবের কিছু কঠিন ও অবাক করা অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, "আমি অষ্টম শ্রেণীতে ফেল করেছিলাম, কিন্তু মাকে বলিনি। তখনই গোবিন্দার সঙ্গে আমার সম্পর্ক শুরু হয়েছে। মাকে বলেছিলাম আমি পাশ করেছি। মা যখন জানতে পারেন আমি মিথ্যা বলেছি, তখন তিনি রেগে গিয়ে একটি গরম প্যান দিয়ে আমার গালে পুড়িয়ে দেন।" তিনি আরও বলেন, “আমার মা খুব কড়া ছিলেন। আমাকে পড়াশোনার জন্য জোর করতেন, কিন্তু আমি পড়াশোনাকে একদম পছন্দ করতাম না। বই খুললেই ঘুমিয়ে পড়তাম।"
গোবিন্দা ও সুনিতার বিয়ে হয় ১৯৮৭ সালে। তবে প্রথম বছর তাঁরা বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন। তাঁদের কন্যা টিনার জন্মের পরেই তা প্রকাশ্যে আনেন। সুনিতার বাবা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন না, কারণ তিনি এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। সুনিতা বলেন, "আমি বিয়ে করি মাত্র ১৮ বছর বয়সে। টিনার জন্ম হয় যখন আমার বয়স ১৯। তখন আমি নিজেই একটা শিশু ছিলাম।"
এই গল্পের আরেক দিক সামনে আনেন তাঁদের মেয়ে টিনা। তিনি বলেন, “আমার মা হট প্যান্ট পরতেন, পালি হিলের অভিজাত এলাকায় থাকতেন, খুব ধনী পরিবার থেকে তিনি এই পরিবারে আসেন। আর আমার বাবা ভিরারে থাকতেন, তখন স্ট্রাগল করছিলেন। দাদু মাকে বলেছিলেন, তুমি কি পাগল? সে তো একজন স্ট্রাগলিং অভিনেতা।"