কপিল শর্মা শোয়ের নতুন পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপারস্টার গোবিন্দা এবং তার গোটা পরিবার। এর আগেও বহুবার অনুষ্ঠানে এসেছেন তিনি, তবে এবার যেন জল্পনা কল্পনার বিষয় ছিল অত্যাধিক! শোয়ের অন্যতম কমেডিয়ান কৃষ্ণা অভিষেক যিনি সম্পর্কে গোবিন্দার ভাগ্নে, তিনিও উপস্থিত ছিলেন না ফ্লোরে। প্রসঙ্গত, কৃৃষ্ণা নিজেই জানিয়েছিলেন জেনে বুঝেই থাকতে চান না তিনি। কোনও ভাবেই যাতে দুই পরিবারের ক্ষেত্রে সম্মানহানি না ঘটে সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এইবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন গোবিন্দা-পত্নী সুনীতা আহুজা।
সুনীতার বক্তব্য অনুযায়ী, যখনই গোবিন্দা শো-তে আসেন তখনই কৃষ্ণা এমন কিছু বলেন যাতে তাঁর পাবলিসিটি বেড়ে যায়। গতবছরও তিনি এমন কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন যাতে গোবিন্দার ভীষণ অপমান হয়েছিল। অনেকেই বলেছিলেন, মানহানির মামলা দায়ের করুন। পরিবারের বিষয় বাইরে আনতে চাননি তাঁরা, তবে এবার আর কোনও উপায় নেই। শোতে কৃষ্ণা না থাকলেও তা হিট হবেই।
সুনীতা একরকম দাবি রেখেই বলেন, "মামার নাম ভাঙিয়েই খান কৃষ্ণা! নিজের নাম ভাঙিয়ে খাওয়ার কি কোনও যোগ্যতা তাঁর নেই? কোনওভাবেই এই দুরত্ব মেটবার নয়। দুই পরিবারের মধ্যেই সম্পর্কের চিড় ধরেছে। যোগাযোগও নেই প্রায় কয়েক বছর। যখনই পরিবারের অপমানের প্রশ্ন আসে তখন কেউই আলগা থাকতে পারেন না। তিন বছর আগে বলেছিলাম যে, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন পর্যন্ত সমস্যাগুলি কখনও সমাধান হবে না এবং আমি এই জীবনে তাঁর মুখ আর দেখতে চাই না।"
সুনীতা জানান, এসবের সুত্রপাত সেদিনই যেদিন সুনীতা, কৃষ্ণার স্ত্রী কাশ্মীরাকে উদ্দেশ্য করে একটি টুইট করে লেখেন, 'যারা টাকার জন্য নাচেন'। যদিও পরবর্তীতে তিনি দাবি করেছিলেন যে, টুইটটি গোবিন্দাকে লক্ষ্য করেই করেছিলেন সুনীতা। এরপর সেই কলহ পারিবারিক ব্যবসায় অশান্তির রূপ নেয়। শোতে কৃষ্ণার অনুপস্থিতি নিয়ে যদিও বা গোবিন্দা কোনও মতামত দেননি। তবে সুনীতার এই বিষয়ে মন্তব্য, তিনি ভীষণই অবাক হয়েছিলেন কৃষ্ণার কথায়, এই দুঃখ বলে ব্যক্ত করা যাবে না। কৃষ্ণা বলেছিলেন, উভয় দলই একসঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতে নারাজ। একথা শোনার পরেই গোবিন্দা বলেন, এইসব পারিবারিক বিষয়ে কথা বলতে তিনি দুঃখিত এবং আগ্রহী নন, তবে এবার সবার সত্যি জানার প্রয়জন আছে।
আরও পড়ুন প্রিয় বন্ধু রীতেশ-জেনেলিয়ার নয়া ব্যবসা দাঁড় করাতে ‘বড় ঘোষণা’ শাহরুখের
সম্পর্ক প্রতিনিয়ত খারাপের দিকেই। কোন কথা কোন দিকে পরিস্থিতি নিয়ে যায়। কৃষ্ণার কথায় বিরক্তি ছিল পরিষ্কার। মুখোমুখি হতে চান না উভয়েই। তবে কি সত্যিই ইতি পড়ল মামা-ভাগ্নের সম্পর্কে?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন