Hina Khan Boyfriend Rocky jaiswal: হিনা খান, মুম্বই ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত পরিচিত মুখ। বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করলেও ছোট পর্দার অভিনেত্রী হিসাবেই সকলেই কাছে পরিচিত হিনা খান। ইয়ে রিসতা ক্যায়া কহেলাতা হ্যায় ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমেই দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এরপর কসৌটি জিন্দেগী কি, নাগিন ৫- এর মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। রিয়্যালিটি শো বিগ বস, ফিয়ার ফ্যাক্টর খতরো কে খিলাড়ি সিজন ৮ ও ১৩, ইন্ডিয়ান আইডলেও অংশ নিয়েছিলেন। স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্স বা অতিথি শিল্পী হিসাবে একাধিক ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে হিনাকে। মিউজিক ভিডিয়োতেও জুড়ি মেলা ভার হিনার। শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণরোগ ক্যানসার। জীবনের এই কঠিন সময়ে প্রতিটি মুহূর্তে পাশে রয়েছেন তাঁর মনের মানুষ। রকি জয়সওয়ালের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় হৃদয় ছোঁয়া পোস্ট শেয়ার করলেন হিনা।
তাঁর কথায়, 'ও আমার দেখা সেরা মানুষ। যখন আমার মাথা নেড়া তখন সেও নিজের মাথা কামিয়ে ফেলে। যখন আমার মাথায় ছোট ছোট চুল উঠতে শুরু করে তখন সেও তাঁর নিজের চুল বাড়াতে থাকে। আমার আত্মার সবচেয়ে কাছের মানুষ। সবসময় আমার খেয়াল রাখে। সবসময় বলে, আমি তোমাকে পেয়েছি। আমাকে ছেড়ে যাওয়ার হাজারটা কারন আছে। কিন্তু, তবুও এই মানুষটা আমার পাশে রয়েছে। স্বার্থহীন এমন মানুষই জানে কী ভাবে কঠিন সময় কারও পাশে থাকতে হয়। অনেক ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে আমরা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি। প্রকৃত অর্থে আমরা যেন পুরো জীবন একে অপরের সঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছি। অনেক বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে গিয়েছি। কোভিডের সময়ও শারীরিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমরা গিয়েছি। দুজনেই আমরা আমাদের বাবাকে হারিয়েছি। একসঙ্গে কেঁদেছি।'
আরও যোগ করেছেন, 'আমার মনে আছে, ওঁর কোভিড হয়নি। কিন্তু, তিনটি মাক্স পরে আমার সেবা করেছে। এটাই আমার প্রিয় মানুষ। যখন জানতাম আমি ক্যানসারে আক্রান্ত তখন সবকিছু ছেড়ে আমার দেখাশোনা করছে। যেদিন প্রথম ও আমাকে এই রোগের কথাটা বলল সেদিন Pet Scans-এর আগে প্রতিটি সেকেণ্ড কাউন্ট করছিলাম। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে অনেক প্রশ্ন নিজেদের মনে তৈরি করা হয়েছিল। যাতে ও নিশ্চিত হতে পারে আমার চিকিৎসা সঠিক পথে এগচ্ছে। যেদিন থেকে কেমো শুরু হল সেদিন থেকে ও যেন হয়ে উঠেছিল আমার 'গাইডিং লাইট'। আমার পোশাক পরিবর্তন থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা সবটাই নিজে হাতে করেছে। আমাকে সবসময় বুঝিয়েছে তোমার পাশে আছি।'
হিনার সংযোজন, 'বিগত দু'মাসের জার্নি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। অনেক কিছু উপলব্ধি করেছি। তুমিই আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি। কঠিন পথকে যেভাবে সহজ করেছ সেটা অতুলনীয়। তুমিই শিখিয়েছ আগে নিজেকে ভালবাস। সেই জন্যই আজ আমি প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে পারছি। আমি আমার অন্তর থেকে তোমাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যদি আমি তোমাকে কখনও দুঃখ দিয়ে থাকি তাহলে ক্ষমা চাইছি। আমরা একসঙ্গে হেসেছি, কেঁদেছি, একে অপরের চোখের জল মুছিয়েছি। বাকি জীবনটাও আমরা এভাবেই একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে চাই। আমি তোমাকে ভালবাসি। তুমি আমার জীবনে ভগবানের আশীর্বাদ। হাসপাতালের কর্মী থেকে চিকিৎসক প্রত্যেকে ওঁর প্রশংসা করে। আজ আমিও মনের কথা বললাম। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব যাতে প্রত্যেকটি মেয়ের জীবনে এমন একজন মানুষ থাকে।'