/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/07/k9m1oVlL7GvB8s48KnBN.jpg)
পুরুষেরও দায়িত্ব নারীকে সুরক্ষা দেওয়া (গ্রাফিক্স: অংশুমান মাইতি)
স্বর্ণদীপ
আমার জীবনে নারীর প্রাধান্য সবসময়ই অনেক বেশি। হয়ত সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। একজন নারীই তো আমাদের পৃথিবীর আলো দেখায়। নিজের কোনও দিদি বা বোন নেই। তাই আমার জীবনে নারীর অস্তিত্ব বলতে শুধু আমার মা-কেই বুঝি। আমার জীবনে নারীর প্রাধান্য বা নারীর প্রতি সম্মান কোনওদিন কমবে না। সেই জন্য আমাদের কনটেন্টের সিংহভাগই নারীকেন্দ্রীক। আমি আজ সকলের কাছে নিজের যেটুকু পরিচয় তৈরি করতে পেরেছি সেটা নারী চরিত্রগুলোর জন্যই। ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন, দুইক্ষেত্রেই নারীর প্রাধান্য রয়েছে।
ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় প্রতিটি নারীর জীবনে অনেকগুলো শেডস আছে। ততটা কিন্তু, পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় না। আমরা যখন কোনও নারী চরিত্রে অভিনয় করি তখন সেটা আরও ভাল করে উপলব্ধি করতে পারি। নারীরা যেভাবে ঘরে-বইরে একসঙ্গে সামলায়, নিজেদের শখ আহ্লাদ পূরণ করে সেটা মোটেই খুব সহজ কাজ নয়। একজন নারীই পারে দশভূজা হয়ে উঠতে।
নারীদিবসের জন্য এবার বিশেষ কোনও কনটেন্ট বানিয়ে উঠতে পারিনি। ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। তবে আমার ব্যক্তিগত মত, নারীশক্তিকে আলাদা করে উপস্থাপন করার প্রয়োজন নেই। সমাজের প্রতিটি কোণে সেটা সর্বত্রই দৃশ্যমান। চলতি মাস থেকেই আমরা বর্তমান সমাজে নারীর স্থান, তাঁদের সম্মান নিয়ে কনটেন্ট তৈরিতে বেশি ফোকাস করব। এটা সম্পূর্ণ নারীজাতির উদ্দেশে। একজন নারীর যতটা সম্মান প্রাপ্য সেটা হয়ত সে পাচ্ছে না।
বিয়ের পর একজন নারীর জীবন আমূল বদলে যাচ্ছে। সেই বিষয়গুলো দর্শকের কাছে পৌঁছে দেব। তাই এটাকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমাদের তরফে নারীসমাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন বলতেই পারি। আমার মতে, প্রতিটি দিন আন্তর্জাতিক নারীদিবস হিসেবে পালন করা উচিত। মা দুর্গাকে আমরা নারীশক্তি রূপে পূজো করি। একজন মা-ই তাঁর সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখায়। তাই আমার মনে হয় পুরুষদেরও একটা দায়িত্ব নারীজাতিকে সুরক্ষা দেওয়া। তাঁদের যোগ্য সম্মান দেওয়া।
সদ্য ঘটে যাওয়া আরজি কর ইস্যু নিয়ে যদি বলি, সমাজের বিচারব্যবস্থা বারবার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যত প্রতিবাদই হোক না কেন সঠিক বিচার পাওয়া হয়ত সম্ভব নয়। তবে এটাও ঠিক, বিচারব্যস্থা কখনও সমাজে নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাপকাঠিও ঠিক করে দিতে পারে না। সম্মান দেওয়াটা নির্ভর করে মানসিকতার উপর। পরজন্মে ছেলে বা মেয়ে হয়ে জন্ম নেব কিনা জানি না। সেটা নিয়ে কখনও ভাবিওনি। তবে পরজন্মে মানুষ হয়ে জন্মাতে চাই। আর অবশ্যই নিজেকে একজন ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে একজন নারীকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে পারি।